#দেশের স্বার্থে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #বিএনপির অপরাজনীতি রুখে দিতে হবে: কে এম লোকমান হোসেন।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমরা চাইবো নির্বাচন কমিশন এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবে না যেটা নিয়ে নতুন আরেকটি ফ্রন্ট তৈরি হয়ে যায়। আমরা আশাবাদী দেশে শান্তি বিরাজ করবে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন মত প্রকাশ করবার যে কালচার রয়েছে যা আমাদের জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৈরি করে দিয়েছেন সেটা অব্যাহত থাকবে এবং তার কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিও এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৭০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে সবচে সংগঠিত রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলাম। আমরা জানি যে তারা মৌল ধারার রাজনীতি করে কিন্তু পাশ্চাত্যের একটি অংশের সাথে তাদেরকে তুলনা করা হয়। সেটা তাদের জন্য একটা সুবিধা বটে। আরেকদিকে তারা এখন বলছে যে, যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল তারা ট্রাইব্যুনালের বিচারের মাধ্যমে অনেকেই তাদের দল থেকে ছিটকে গিয়েছে এবং যারা স্বাধীনতার পরে জন্ম গ্রহণ করেছে তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী বলার সুযোগ নেই। সুতরাং তারা জামায়েতের রাজনীতি করতেই পারে। আমরা চাইবো নির্বাচন কমিশন এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবে না যেটা নিয়ে নতুন আরেকটি ফ্রন্ট তৈরি হয়ে যায়। আমরা আশাবাদী দেশে শান্তি বিরাজ করবে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন মত প্রকাশ করবার যে কালচার রয়েছে যা আমাদের জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৈরি করে দিয়েছেন সেটা অব্যাহত থাকবে এবং তার কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিও এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছে বিএনপি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে দেশ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচারে লিপ্ত। বিএনপির যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। তারা কয়েকদিন পর পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তাদের দলের নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনে টকশোতে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় শুধু বৃদ্ধি পায়নি, রফতানি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা খাদ্য সংকটের সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি, খাদ্যে আজকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন আজকে দৃশ্যমান। কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, মাতারবাড়ী-পায়রা দুটি সমুদ্র বন্দর হয়েছে। মেট্রোরেল হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এত উন্নয়ন দেশের মানুষের ভালো লাগলেও বিএনপির ভালো লাগে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি বড় প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচারের পাশাপাশি তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সক্রিয় থাকতে হবে।