রাজধানীর মিরপুরে মানবতাবাদী ক'জনের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্জ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন। এলাকার গণমানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত আপন-প্রিয় মানুষ হিসেবে সমধিক পরিচিত। আসন্ন দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রিমহল তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে উম্মে সালমা চৌধুরী রানু সহ বিভিন্নজনকে তার পেছনে লেলিয়ে দিয়ে নানা মনগড়া অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।
জোট সরকার আমলে ২০০১-২০০৬ সালে ৭ মামলায় এস এ খালেকের রোষানলে পড়ে জেলজুলুম, কারাবাসকৃত মোঃ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঐ চক্রটি এখনো মিথ্যা অভিযোগে তুলে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৮৭ সালে মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাধ্যমে তার হাতেখড়ি। ১৯৯৪ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ড এর সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দ্বায়ীত্ব পালন করেন।
যে মানুষটি প্রতিনিয়ত দু:স্থ অসহায় বিপদগ্রস্থ মানুষদের পাশে থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করে যাচ্ছেন যুগযুগ ধরে। এলাকার দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয়তার পাশাপাশি দু:স্থ অসহায় রোগীদের তিনি গোপনে সেবা ও সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর তিনি স্কুল-কলেজে লেখাপড়ার খরচ চালাতে অক্ষম শিক্ষার্থীদের পিতামাতার পাশে দাঁড়িয়েছেন আপন ভুমিকায়।
২০২০ সালে দেশে মহামারী করোনাকালে ১০ থেকে ১৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মহামারীতে তিনি এই অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এমনকি মসজিদ,মাদ্রাসা,এতিমখানায় তার নীরব অনুদান অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক দুষ্কৃতি কুচক্রি মহলের সদস্যরা হয়তো ভুলে গিয়েছেন আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের দুঃসময়ের পরম বন্ধু হিসেবে পাশে রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এই সময়ের সাহসী সন্তান, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট সমাজসেবক শিক্ষানুরাগী দায়িত্বশীল মানবিক ও নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন শুধু মাত্র একজন মানবসেবক নয় তিনি ধার্মিক,ন্যায়পরায়ণ,শিক্ষানুরাগী ও সৎচরিত্রের অধিকারী। এই অঞ্চলের স্বার্থান্বেষী চাঁদাবাজচক্র তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যাচার রটাচ্ছে যারা জানেন আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলে তাদের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে তারা দূর্নীতি অনিয়ম ও চাঁদাবাজি করতে পারবেনা।
শুধুমাত্র তারাই যোগ্য সৎ নিষ্ঠাবান মানুষটির নামে এই সকল নোংরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন আমরা স্থানীয় সকল এলাকাবাসী এই সকল মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে ঐসকল অপপ্রচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি করেন তারা।
আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। বঙ্গবন্ধুকে আমি দেখিনি; আমি তার রেখে যাওয়া আদর্শ বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে সাধারণ মানুষের কাছে বিলিয়ে দিতে চাই। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা জাতির জনকের উত্তরসূরী আমাদের রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি পথ চলছি।
আপনার বিরুদ্ধে কারা অপপ্রচার করেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল যারা দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি, দখলবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে তারাই আমাকে এবং রাজনৈতিক শক্তিকে দূর্বল করতেই নানামুখী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শতভাগ বিশ্বাস ও আস্থা রেখে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি জননেতা শেখ বজলুর রহমান ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা এস এ মান্নান কচি ভাইয়ের নেতৃত্বে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাবো। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ঢাকা -১৪আসনে নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সক্ষম হবো।