প্রকাশ: বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৯:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শীতের আগমনী বার্তা যেন প্রকৃতিতে এক ভিন্নরকম চাঞ্চল্য আনে। শীত ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। ফলে মাঝ রাত থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা রাতে হালকা গরম অনুভব হলেও মাঝ রাতের দিকে কাঁথামুড়ি দিতে হচ্ছে। ভোর থেকেই চারপাশে কুয়াশা দেখা গেলে সূর্য উঠার পরপর কাটতে শুরু করে।
মাদারীপুরের শিবচরে গত কয়েকদিন ধরেই শুরু হচ্ছে শীতের আমেজে। তবে দিনের বেলায় কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পর একটু একটু করে কুয়াশা জড়িয়ে ধরছে প্রকৃতিকে। সকালেও দেখা গেছে সেটি। এতে হালকা শীতের অনুভূতি জাগিয়ে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনে কিছুটা গরমভাব থাকে। আবার মাঝরাতের দিকে বেশ ঠাণ্ডা পড়ে। ভোর থেকে আবার কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় ঠাণ্ডা-কাঁশির প্রকোপ বাড়তে পারে।
সকালে হাঁটতে বের হওয়া স্কুল শিক্ষক মো: মাসুদ পারভেজ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। থাকছে কুয়াশাও। তবে সূর্য উঠার পর কুয়াশা আস্তে আস্তে কমে যায়।
উপজেলা ডিসি রোড এলাকার হাঁটতে বের হওয়া সাংবাদিক এস এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভোর বেলায় কুয়াশা দেখা দেওয়ায় শীতশীত অনুভূত হচ্ছে। তাছাড়া দিনে গরম লাগলে ও মাঝরাতে শীত করছে। সকাল বেলা হাঁটতে খুব ভাল লাগলেও কুয়াশা স্মরণ করিয়ে দেয় যে শীত এসে গেছে।
মাদবরচর ইউনিয়নের শুক্কুর হাওলাদার কান্দি এলাকার ভ্যান চালক মো: আনোয়ার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর রাস্তায় কুয়াশা দেখা যায়। রাত যত বাড়ে কুয়াশা তত বেশি দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঠাণ্ডা লাগায় রাত সাড়ে ১০টার পর আর বাইরে থাকি না। বাড়িতে চলে আসি।
এদিকে শীতের আগমনী বার্তায় স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে শোভা পাচ্ছে নানা রকমের শীতের গরম পোশাক। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটে শীতের পোশাক দোকানিরা তুলেছেন।
পাচ্চঁর সোনার বাংলা শপিং কমপ্লেক্সর ব্যবসায়ী নাহিদ মাদবর বলেন, শীতের আগমনী বার্তায় গত বছরের বিভিন্ন শীতের পোশাক দোকানে উঠিয়েছি। শীতের পোশাক বিক্রি শুরু না হলেও বাচ্চাদের পোশাক কিছু বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে বেচাকেনা শুরু হবে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচপিও) শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, শীতে আসতে শুরু করেছে। শীতের সময়ে রোগ বালায়ের প্রকোপ দেখা দেয় । তাই এ সময় রোগীসহ সবাইকেই বেশি সতর্ক থাকতে হবে।