আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনারা দলটাকে বাঁচান। টাকাপয়সার লেনদেন এগুলো বন্ধ করেন। কমিটি করতে টাকা লাগবে, এটা বিএনপির হতে পারে, আওয়ামী লীগ এ চর্চা করতে পারে না। টাকাপয়সা নিয়ে মনোনয়ন এ চর্চা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এটা শেখ হাসিনার নির্দেশ।’
বুধবার রাজধানীর খিলগাঁও মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের খিলগাঁও থানা এবং ১, ২, ৩ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টাকাপয়সার লোভ দলীয় সভাপতির নেই। বঙ্গবন্ধু পরিবারের নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সততা-সাহস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, জ্বালানির দাম বেড়েছে, মানুষের কষ্টও বেড়েছে। গরিব মানুষের কষ্ট, নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট, আমরা বুঝি, শেখ হাসিনা বোঝেন। তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় আপনাদের কষ্টের কথা ভেবে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বিএনপির সাম্প্রতিক সমাবেশ নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দু-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাবটা এমন, ক্ষমতায় এসেই গেছে। এত সোজা নয়। খেলা হবে। রাজপথে খেলা হবে।
বিএনপির মাঠে নামার কথা শুনলে বাস-লঞ্চের মালিকরা ভয় পায় বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নি সন্ত্রাস করে বাসে, লঞ্চে, গাড়িতে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছে। বাস পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, রেল পুড়িয়েছে। তাই বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে তারা মাঠে নামলে বাসের মালিকরা ভয় পায়। লঞ্চের মালিকরা ভয় পায়। আবার যদি আগুন দেয়? আবার যদি মানুষ পুড়িয়ে মারে। সেজন্যই পরিবহন বন্ধ করে দেয় মালিকরা।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তারা আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সমাবেশের নামে তারা বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ড করে। তাদেরকে প্রতিহত করতেই হবে। এজন্য তিনি নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ এবং সতর্কতা আহ্বান জানান।
ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই। অনেকের নামে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজি এবং দখলদারের অভিযোগ পাই। আগামীতে এদেরকে দল থেকে বের করে দিয়ে যোগ্য এবং দক্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে দল গঠন করা হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারব।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা ৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি প্রমুখ।