চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের মাত্র ছয় শতাংশ চীন থেকে নেওয়া। অন্যদিক থেকে যদি বিবেচনা করি বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের ৩৬ শতাংশ যা অত্যন্ত ভালো।
যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার এবং তাদের ঋণ হচ্ছে ৩১ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি যদি আমরা বিবেচনায় নেই তাহলে দেখবো বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আমরা স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমরা চাই এখানকার অভ্যন্তরীণ ইস্যু শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধান হোক।
তিনি বলেন, চীনা বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রায় শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। আগামীতে এ বাণিজ্য সহযোগিতা আরও বাড়বে। অনেক চীনা কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য চীনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমস্যাটি সমাধান করা উচিৎ। এটি কোনোভাবেই আন্তর্জাতিকীকরণ করা ঠিক হবে না।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, রাখাইনের পরিবেশ সহায়ক নয়। সেখানকার পরিবেশ ভালো হলে প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করি।
উইগুর মুসলিমদের নিয়ে চীন সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনে ২৫ মিলিয়ন মুসলিম রয়েছে। এর মধ্যে ১২ মিলিয়ন মুসলিম রয়েছে উইগুরে। তাদের নিয়ে পশ্চিমারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। পশ্চিমা মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে, চীনও একই অবস্থানে। আমরাও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে কুনমিং রেল স্টেশনে চার উইগুর মুসলিম সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে ৩১ জন নাগরিক নিহত হন। এটাকে আপনারা যদি সন্ত্রাসী হামলা না বলেন, তাহলে সন্ত্রাসী হামলা কোনটি?