#দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সবসময় সফল: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। #ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১১:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার দিনটি আতঙ্কে পার করেছেন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষ। তবে শঙ্কা কাটিয়ে উপকূলে মঙ্গলবার সকালে উঠেছে ঝলমলে রোদ। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় আরও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ক্ষতি কম হয়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৬৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার দিনটি আতঙ্কে পার করেছেন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মানুষ। দমকা হাওয়া, ঝোড়ো বৃষ্টি ও ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে শঙ্কা কাটিয়ে উপকূলে মঙ্গলবার সকালে উঠেছে ঝলমলে রোদ। বাংলাদেশে এর আগে ২০২২ সালের ১১ মে থেকে অনেকদিন পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত হয়েছে সিলেট। সিলেটের প্রায় অধিকাংশ এলাকা তখন পানিতে তলিয়ে যায়। ১৯৮৮, ১৯৯৮ বা ২০০৪ সালের বন্যার মতো অবস্থা হয়নি। তারপরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবারের বন্যায় সিলেট জেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এখন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবল থেকে জনজীবন ফিরেছে স্বাভাবিক দিনের মতো। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' পরবর্তী ত্রাণ সরবরাহ, চিকিৎসা প্রদান, দুর্যোগ কবলিত মানুষকে সহায়তা প্রদান এবং যাবতীয় উদ্ধার কাজে সহায়তা প্রদান করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিমানবাহিনী। দেশে ২০১৯-২০২২ পর্যন্ত যেসব ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার প্রতিটিতেই দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ফণী, আম্পান, ইয়াস, বুলবুল ইত্যাদি। এসব ঝড়ে যেমন প্রাণহানি ঘটছে, তেমনি ফসলের ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক। এসব ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত সোমবার আঘাত হেনেছে সিত্রাং। আমরা আশা করছি সিত্রাং-এ ব্যাপক ক্ষতি যেন না হয়।
উৎপল দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডব চালিয়ে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে গত রাতেই। বর্তমানে এটি লঘুচাপ আকারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ায় দেশের আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে বেশ রোদ ওঠার খবরও পাওয়া গেছে। ঢাকায় রোদ উঁকি দিলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। তবে সার্বিকভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যেহেতু গত কয়েক বছর ধরে প্রতি বছর কমপক্ষে একটি করে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, তাই দুর্যোগ প্রতিরোধে সরকারকে সঠিক এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় আরও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ক্ষতি কম হয়।