প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ৮:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগর উপজেলায় ঝূঁর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপজেলাবাসী বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। গত সোমবার সকাল থেকে উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সদর এলাকায় কোন কোন স্থানে বিদ্যুৎ সচল হলেও বেশীরভাগ এলাকায় বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিত্রাংয়ের ধমকা হাওয়া ও অতিবৃষ্টির ফলে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ও ডাল ভেঙ্গে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
সোমবার সকাল থেকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট ও স্থানীয় হাটবাজার গুলো জনশূণ্য হয়ে পড়তে দেখা যায়। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ঝূর্ণি বাতাসে বিভিন্ন সড়কের পাশে থাকা গাছপালা ও ডাল ভেঙ্গে জরার্জীণ পল্লী বিদ্যুৎ খুঁটির তারের ওপর পড়েছে। এতে কোথাও কোথাও তার ছিড়ে গেছে। বেশ কয়েক স্থানে খুঁটি ভেঙ্গে পরার পাশাপাশি খুঁটি হেলে যেতে দেখা গেছে। পল্লাী বিদ্যুৎ কর্মীদের এসব গাছপালা-ডাল অপসারণ করতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানায়, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই উপজেলাব্যাপী হালকা বৃষ্টি ও ধমকা বাতাস শুরু হলে উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিকালের দিকে বিদ্যুৎ কয়েকবার আসলেও এক থেকে দেড় মিনিটের বেশী বিদ্যুৎতের স্থায়ীত্ব থাকেনি। সন্ধ্যার পর সিত্রাংয়ের প্রভাব বাড়তে থাকলে বিদ্যুৎহীনভাবে রাত কাটে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এলাকাবাসী জানায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন তারা। বিদ্যুৎতের অভাবে ফ্রিজের মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ভবনের বাসিন্দারা পানি সংকটের মধ্যে পড়েছেন।
একদিকে ঝূর্ণিঝড় সিত্রাং অপরদিকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় তাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে বেড়েছে। মোবাইল ও নেট ব্যবহারকারীরা জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় অসংখ্য মানুষের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনালের ডিজিএম মদন গোপাল সাহা জানান, উপজেলার ৫টি স্থানে বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। ঝূর্ণিবাতাসে ৩৫টি স্থানে গাছপালা ও ডাল পড়ে বিদ্যুৎতের তার বিচ্ছিন্ন হয়। বর্তমানে মাঠে কাজ চলছে। আশা করছি বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।