প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ৮:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এক রাতের হালকা বৃষ্টিপাত আর দমকা বাতাসে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শতশত হেক্টর জমির রোপা আমন খেত হেলে পড়েছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করেছেন এ উপজেলার কৃষকরা।
আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত এ উপজেলায় হালকা-বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাস হয়। এতে ঘরবাড়ী গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উপজেলার কোলকোন্দ, বড়বিল, বেতগাড়ী, আলমবিদিতর ইউনিয়নসহ নয়টি ইউনিয়নের শতশত হেক্টর জমির আমন খেত মাটিতে হেলে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কোলকোন্দ, বড়বিল, বেতগাড়ী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শতশত আমন খেত বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে হেলে পড়েছে। এতে ধানের গাছ পঁচে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। এ ছাড়া দমকা বাতাসে বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, লালশাকসহ অন্যান্য শাক-সবজীর পাতা ছিঁড়ে যাওয়া, হেলে পড়াসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৫),একই গ্রামের কৃষক আজগার আলী (৪২), রহমত আলী (৪০) জানান,তাদের প্রত্যেকের দেড় থেকে দুই বিঘা করে আমন খেত বাতাসে হেলে পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় আমরা বড় দুচিন্তায় আছি। আর কয়েকদিন পরেই গাছ থেকে ধান বের হতো। জানি না আমাদের কি হবে।
বেতগাড়ী ইউনিয়নের চারআনী শেরপুর গ্রামের সাজু মিয়া (৫৫) ,সবুজ মিয়া (৩৫)জানান, ধার-দেনা করে আমন ধান জমিতে লাগাইছি। হঠাৎ দমকা-বাতাসে খেতের সমস্ত ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এবছর পেটের ভাত জোগার হবে কিনা তা নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ হয়েছে। সোমবার রাতের বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে উপজেলার নয় ইউনিয়নের বেশ কিছু আমন ধান খেত মাটিতে হেলে পরেছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের হেলে পড়া ধান গাছগুলো পরিদর্শন করছি। সেই সাথে হেলে পড়া ধান গাছগুলো তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। ধান গাছ গুলো তুলে দিলে কিছুটা রক্ষা পাবে কৃষক।