ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সব ফরমেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান।
এদিন সন্ধ্যায় আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তীসময়ে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পর্যাপ্ত পরিমাণ বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে বিকেলে আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তীসময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলে মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ, দুটি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) এবং দুটি হেলিকপ্টার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এসব জাহাজগুলোকে ত্রাণ সামগ্রীসহ এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীসময়ে উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীসময়ে সমুদ্র ও উপকূলীয় উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় নৌবাহিনীর এমপিএ ও হেলিকপ্টারের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা হবে।
প্রথম ধাপে উদ্ধার কাজের জন্য বানৌজা সমুদ্র অভিযান- কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায়, বানৌজা পদা- কুতুবদিয়া ও বহির্নোঙর এলাকায়, বানৌজা হাতিয়া এবং এলসিটি ১০৩- সন্দীপ ও হাতিয়া সংলগ্ন এলাকায়, এলসিভিপি ১১- পটুয়াখালী এলাকায় ও এলসিভিপি ১২- পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া মোংলায় বানৌজা স্বাধীনতা, প্রত্যাশা, প্রত্যয়, ধলেশ্বরী, নির্মূল, অনুসন্ধান জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বানৌজা অদম্য, অতন্দ্র, দুর্ধর্ষ ও দুর্দান্ত ও ধানসিঁড়িকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্গত এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিকেল টিম জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকবে।
ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং কন্টিনজেন্টগুলোকে মোতায়েন করা হবে।