ময়মনসিংহের নান্দাইল বাজারের নৈশ প্রহরীদের হাত, পা, মুখ বেধেরেখে দুটি জুয়েলারি ও একটি ফলের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন জেলার বহুল আলোচিত শীর্ষ দুই ডাকাতসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের দেয়া তথ্যমতে উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত স্বর্ন ও ৭০ ভরি রুপার অলংকার।
১৮অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকা দারুসসালাম থানাধীন দ্বীপনগর এলাকা থেকে ডাকাত হাসমত বেপারী ওরফে আচমত আলী খান কালাম (৪৩), জসিম ওরফে মুন্না (৩৯) নামের শীর্ষ ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন সকালে ডাকাতির মালামাল ক্রয় করার অপরাধে জুয়েলারি দোকানের মালিক ইকবাল হোসেনকে (৩৫),চাদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ভযঙ্কর এই ডাকাতদের গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি’র ওসি সফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হাসমত ও পলাতক এবাদুল ডাকাতের বিরুদ্ধে চাঁদপুর,শরিয়তপুর,মাদারীপুর,ঢাকা,নরসিংদী রাজবাড়ী মুন্সীগঞ্জ,ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, খুন,ধর্ষণ, বিস্ফোরক, চুরি, অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস বিফিং অনুষ্ঠানে এসপি মাসুম আহাম্মদ ভুঞা সাংবাদিককের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান গত ২৪/০৯/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল বাজারে দুটি জুয়েলারি ও একটি ফলের দোকানে ডাকাতি করে একদল ডাকাত ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৯০ ভরি রূপার অংলকার, দুইটি মোবাইল সেট ও নগদ ৪,৬২,০০০/-টাকা লুট করে। ডাকাতির সংবাদ পেয়ে নান্দাইল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা উপর্যুপরি ৩/৪ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকা ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার একদিন পর ২৬/৯/২২ ইং তারিখ বিকেলে নান্দাইল থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।
দ্রুত ডাকাতদের সনাক্ত, গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের লক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা,ময়মনসিংহকে তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার এসপি মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
বুধবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি’র ওসি সফিকুল ইসলাম জানান সিসি টিভির ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এসপি স্যারের দিক নির্দেশনায় দুর্ধর্ষ ডাকাতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এর পুবে ১০/১০/২০২২ ইং তারিখে জসিম বেপারী (৩৫), ২। শামছুদ্দিন মোল্লা(৩৫), ৩। আসাদুল (২৫), ৪। শেখ সুজন (৩৩)নামের ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এই ডাকাতির ঘটনায় এ পর্যন্ত পৃথক অভিযানে ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাই ডাকাতির সাথে জড়িত ছিলের বলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি প্রদান করেছে।বাকি ডাকাতদের গ্রেফতার ও মালামাল ও টাকা উদ্ধারের লক্ষে কাজ চলছে বলেও জানান ওসি সফিকুল ইসলাম।