প্রকাশ: বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা থাকার সময় রেলওয়ের অবস্থা একেবারে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ভঙ্গুর রেলব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। যা এখন জনগণের দোড়াগোড়ায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেলওয়ের যৎসামান্য উন্নয়ন হলেও কাংখিত সেবা থেকে এখনো বি ত। সুশীল সমাজ বলছেন রেলকর্তৃপক্ষের অনীহা চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেলওয়ের উন্নয়ন কাজ নিয়ে। উন্নয়ন যেন বন্ধ হয়ে গেছে, সেটি ঘুরপাক খাচ্ছে।
সুমিষ্ট আমের জেলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছেন জেলাবাসী। জানা গেছে. দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ার পরপরই ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা, পদ্মা ও ধুমকেতু’র সংযোগ হিসেবে কমিউটারসহ অন্যান্য ৬ জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে করোনার প্রকোপ কমে আসলে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই থেকে আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা ও ২টি ট্রেন চালু হয়। বাকিগুলো নানান অজুহাতে আর চালু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনগুলো চালু না থাকায় রেল সেবা থেকে বি ত হচ্ছে এ অ লসহ আশপাশের অ লের মানুষ।
এসব ট্রেন চালুসহ স্টেশনের আধুনিকায়নের দাবীতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, নাগরিক কমিটি মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচী পালন করলেও কোন নজর দেয়নি রেলকর্তৃপক্ষ। জনশ্রুতি রয়েছে ২০১৯ সালে ১৮ জুলাই আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলষ্টেশনে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বসার জায়গা না পাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন এবং এ অ লের রেলওয়ের উন্নয়নের কাজে আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। যার প্রতিফলন পাচ্ছে এ অ লের মানুষ। সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে এবং সোনামসজিদ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, আধুনিক মানসম্পন্ন স্টেশন নির্মাণে সকল ফাইল বন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া এ রেলস্টেশনে পুরাতন প্লাটফর্মটি পুনঃনির্মিত হলেও যাত্রী ছাউনি বর্ধিত করা হয়নি। এতে করে যাত্রীদের প্রতিনিয়তই অসুবিধায় পড়তে হয়। এদিকে স্টেশনটির গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় ২য় প্লাটফর্ম নির্মাণসহ নতুন রেললাইন স্থাপন করা হয়। তবে প্লাটফর্মটিতে ছাউনি নির্মিত হয়নি। সুশীল সমাজ মনে করছেন, এ রেলষ্টেশনটিতে সীমানা প্রাচীর দেয়া প্রয়োজন। ষ্টেশন সংলগ্ন ঘেষা টিনের ঘর তুলে বসবাস করার পাশাপাশি তারা গরু-ছাগল পালন করছে। রেলস্টেশনটি অরক্ষিত থাকায় সময় সময় অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেও থাকে। এ স্টেশনটিকে সুরক্ষিত করার জন্য রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বন্ধ ট্রেন চালুসহ সমস্যা নিরসনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বরং তাদের অনীহাটাই বেশী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, রেললাইন সংস্কারের পাশাপাশি আধুনিকমানের ষ্টেশন নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করে রেলকর্তৃপক্ষ। এ ষ্টেশনে নতুন রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি আরেকটি নতুন প্লাটফর্ম নির্মাণ করা হলেও যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়নি। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি বলেন, সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে যাওয়া হয়েছিল। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, সোনামসজিদ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারনের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ হয়ে গেছে। রেলের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রেলমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আন্তরিকতার সাথে কথাগুলো শুনেছেন এবং কাজগুলো করবেন বলে আশ্বাস দেন।