প্রকাশ: বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সোমবার শন্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে মৌলভীবাজারের জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। সোমবার সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে হয় নির্বাচন । সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলায় নির্দিষ্ট ১৪টি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রণ সম্পন্ন হয়।
ভোটগণনা শেষে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৪নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) একটি সদস্য পদের বিপরীতে তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সমান হয়। নির্বাচনের দুই প্রার্থী মোঃ হাসান আহমেদ জাবেদ ও আতাউর রহমান সমান সংখ্যক ৮০ ভোট পান। বাকি এক প্রার্থী পান ৮ ভোট। এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বিজয় নিশ্চিত করতে লটারির ব্যবস্থা করেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে মোঃ হাসান আহমেদ জাবেদ এর নাম উঠলে তাকে সদস্য পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পেলে ফলাফল নির্ধারণে লটারি করার বিধান রয়েছে। সে মোতাবেক লটারির মাধ্যমে মোঃ হাসান আহমেদ জাবেদ কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে জেলার অন্যান্য উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন, রাজনগর উপজেলায় জিয়াউর রহমান জিয়া, কমলগঞ্জ উপজেলায় হেলাল উদ্দিন, কুলাউড়া উপজেলায় বদরুল আলম নান্নু, জুড়ি উপজেলায় বদরুল ইসলাম ও বড়লেখা উপজেলায় আজিম উদ্দীন। আর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মশিউর রহমান বিনা প্রদিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন। সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে হেলেনা চৌধুরী, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা শিরীন আক্তার চেšধুরী এবং রাজনগরে রাকিবা সুলতানা তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। ভোট প্রদান করেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২১ জন ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৭জন প্রার্থী ছিলেন। এবার ইভিএম তথা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো সিসি ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।