জন্মদিনে শেখ রাসেলকে স্মরণ করি গভীর আবেগ ও ভালোবাসা দিয়ে: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শেখ রাসেল আজ প্রতিটি শিশু কিশোর তরুণের কাছে ভালোবাসার নাম, মানবিক বেদনাবোধ সম্পন্ন মানুষেরা শহীদ শেখ রাসেলের বেদনার কথা হৃদয়ে ধারণ করে চিরদিন শিশুদের জন্য কাজ করে যাবে। জন্মদিনে শেখ রাসেলকে স্মরণ করি গভীর আবেগ ও ভালোবাসায়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৫৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজের গভর্নিংবডির সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আসলে ইতিহাস বড়ই নির্মম। শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আমরা পালন করবো আগামীকাল। যার জন্মদিন আমরা পালন করবো সেই শেখ রাসেলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, সেই বিভীষিকাময় রাতে, ঘাতকরা যখন বিশ্ব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল, প্রাণে বাঁচার জন্য মিনতি জানিয়েছিল ছোট্ট রাসেল। কিন্তু ওই বুনোদল, সীমারদের মনে বিন্দুমাত্র মায়া ছিল না। শিশু রাসেলকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে এক ঘাতক সেনা। সেদিন মূলত বাংলাদেশকেই হত্যা করা হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রক্ত ঘামে রূপান্তরিত করে এই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়েছিল। শহীদ শেখ রাসেলের বয়স ছিল তখন ১১ বছর। তার তো কোন অপরাধ ছিল না। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর অনেক দেশেই হয়েছিল কিন্তু ছোট্ট শেখ রাসেলও সেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। কি নির্মমভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে মাত্র ১১ বছর বয়সের প্রাণবন্ত শিশু রাসেলের প্রাণ কেড়ে নেয় ঘাতকের বুলেট। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সন্তান হিসেবে বাড়ির সবাই শেখ রাসেলকে অনেক আদর করতেন। মা, ভাই-বোনদের পাশাপাশি দাদা-দাদিও খুব আদর করতেন, রাসেলকে পিতা বঙ্গবন্ধু একটু বেশিই আদর করতেন। কারণ শিশুকাল থেকেই পিতার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ছোট্ট রাসেল। ওরা সেদিন হত্যা করেছে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে, শহীদদের রক্তে রঞ্জিত লাল সবুজের পতাকাকে। এমন একটি সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছিল। অপ্রস্ফুটিতই থেকে গেল এমন একটি প্রতিভা। শেখ রাসেল তাই বেদনার এক মহাকাব্যের নাম। ছোট্ট শিশুটি যে প্রচণ্ড নিষ্ঠুরতা আর নির্মমতম শিকার হয়েছিল, তা এখনও বিশ্বমানবতাকে বিচলিত করে। জন্মদিনে শেখ রাসেলকে স্মরণ করি গভীর আবেগ ও ভালোবাসায়।