প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ৭:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ছাই ঢেলে বিএনপির সঙ্গে মিলিত হলো জামায়াত। চট্টগ্রামে বিএনপির গণসমাবেশে শত শত জামায়াত নেতাকর্মী ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে যোগ দেয় নিবন্ধন হারানো রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। তখন তারা ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিতে থাকে। একই শ্লোগান দেন হুম্মাম কাদেরও।
জামায়াত নেতাদের উদ্দেশ্য করে হুম্মাম বলেন, ‘আপনারা সকলে সাথে থাকলে আমাদের পরাজিত করার শক্তি কারো নেই। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়িতে যেতে পারবেন না।’ এ সময় মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি জামায়াতের আমির বলেছিল- বিএনপি ও জামায়াত এখন দুই পথের পথিক। মাঠের রাজনীতিতে টিকে তাকতে দেশে-বিদেশে নানা চাপের মুখেও জামায়াতকে ছাড়েনি বিএনপি। মাস না পেরুতেই আবারও একই পথে হাটা শুরু করলো দুই সহিংস রাজনৈতিক দল। জামায়াতকে পাশে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা। জানা গেছে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য পূর্বের ন্যায় আবারও সহিংস পরিকল্পনা করছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম বলেন, জামায়াত জোট ছাড়ার কথা বলেছে, বিএনপিকে নয়। জামায়াত-বিএনপি একই মায়ের পেটের ভাই। বিপদ-আপদে জামায়াত সব সময় বিএনপির পাশে থেকেছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একক শক্তিতে জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ নেই, তবে তাদের যে পরিমাণ ভোট আছে, সেটি অন্য প্রধান দলের বাক্সে গেলে সেই দলকে শক্তি জুগিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে পারে এবং সহিংস রাজনীতিতে জামায়াত পরিপক্ক। তাই নানা সমালোচনা এবং দেশি-বিদেশি চাপের মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট চালিয়ে গেছে বিএনপি। ভবিষ্যতেও তারা একই পথে হাঁটবেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য দেশকে পূর্বের ন্যায় অশান্ত করবেন।