#নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এতে করে একদিকে যেমন নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, সেই সাথে নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে সময় ও অর্থের খরচ হয় তা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৫৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ডিজিটাল এ ভোটগ্রহণ পদ্ধতি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশেও ইভিএমে শতভাগ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে, এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোই যায়। বিএনপির অভিযোগ ও নানা শঙ্কা সত্ত্বেও বলতে হয়, ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। কারণ এটি অপারেট করার জন্য প্রিসাইডিং বা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের বায়োমেট্রিক্স নেয়া থাকে, তাই তারা ছাড়া কেউ অপারেট করতে পারে না। কোনো কারণে মেশিন নষ্ট হলেও গৃহীত ভোট নষ্ট হয় না। মেশিনের কার্ডে শুধু নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটারদের তথ্য থাকে ফলে অন্য কেউ ভোট দিতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে নির্বাচন ক্ষেত্রে ইভিএম এর ব্যবহার। এতে করে একদিকে যেমন নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, সেই সাথে নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে সময় ও অর্থের খরচ হয় তা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর সুফল হিসেবে সুশাসন ব্যবস্থা আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা যায়।
উৎপল দাস বলেন, গতকাল গাইবান্ধা ৫ আসনের নির্বাচনকে ঘিরে জনগণের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল সেটা আসলেই দেখার মতো ছিল। সরকার সব দলের অভিমত নিয়েই মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছিলেন। এই নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা আমাদের এখনো রয়েছে। অনেকেই অনেক ধরণের নেতিবাচক কথা বলছে, কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।