নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গিয়েছিল গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৩৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধায় যে উপ নির্বাচন আজ দেখলাম সেখানে আমরা ইভিএম ও সিসি ক্যামেরার সর্বাত্মক ব্যাবহার দেখেছি। এই সিসি ক্যামেরার সর্বাত্মক ব্যাবহারের কারণে পুরো কমিশন তাদের সচিবালয়ে বসে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে কি হচ্ছিলো সেটা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলেন এবং সেই অনুসারে তাৎক্ষনিকভাবে পদক্ষেপ নিতে পেরেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা যদি সঠিক না থাকে এবং এই ব্যবস্থাকে যারা কলঙ্কিত করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে; হোক সে দলের আর দলের বাহিরের।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৫৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের শেষের দিকে অথবা ২০২৪ এর শুরুর দিকে হওয়ার কথা এবং সেভাবেই নির্ধারণ করা আছে। তার আগে আমরা বর্তমানে যে স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন কিংবা স্থানীয় সংসদের শূন্য আসনে উপনির্বাচন গুলো প্রত্যক্ষ করছি সেগুলোকে অনেকটা প্রাইরুটিং বলা যেতে পারে। নবাগত নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর তারা ক্রমে সম্যক উপলব্ধি অর্জন করছে এবং পাশাপাশি যে কৌশলগত প্রস্তুতি আছে সেগুলো গ্রহণ করছে। তারা দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগে থেকেই এ.টি.এম. শামসুল হুদা জামান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তখন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে ক্রমে ক্রমে ইভিএম পদ্ধতি প্রবর্তন করবেন নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবার জন্য এবং চট্টগ্রাম থেকে ইভিএমের যাত্রা শুরু হয় ও পরবর্তীতে সকল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সংসদের শূন্য আসনে উপনির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যাবহার করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় আমরা গাইবান্ধায় যে উপ নির্বাচন আজ দেখলাম সেখানে আমরা ইভিএম ও সিসি ক্যামেরার সর্বাত্মক ব্যাবহার দেখেছি। এই সিসি ক্যামেরার সর্বাত্মক ব্যাবহারের কারণে পুরো কমিশন তাদের সচিবালয়ে বসে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে কি হচ্ছিলো সেটা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলেন এবং সেই অনুসারে তাৎক্ষনিকভাবে পদক্ষেপ নিতে পেরেছে। সেখানে অনিয়মের অভিযোগে ৫১ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা অকপটে স্বীকার করে যে এই নির্বাচন তাদেরও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গিয়েছে। আসলে তাদের লুকবার কিছু ছিলোনা কারণ তাদের ঘাড়ের উপরেও অনেকগুলো চোখ বসেছিল!