প্রকাশ: বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২, ৯:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার তালতলীতে১ ঘন্টার জন্য প্রতীকি উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সুমাইয়া আক্তার নামে এক স্কুল ছাত্রী। উপজেলাকে নারী বান্ধব করতে ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরেন প্রতীকি দায়িত্ব পাওয়া ওই উপজেলা চেয়ারম্যান।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি-উল-কবিরের কাছ থেকে ১ ঘন্টার জন্য দায়িত্ব বুঝে নেন স্কুল ঐ ছাত্রী।
জানা যায়, প্রতীকি চেয়ারম্যান হওয়া স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার তালতলী সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যায়লের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী এবং সে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টান্সফোর্স (এনসিটিএফ) উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি
কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে নারী ক্ষমতায়নের জন্য বেসরকারী সংস্থা প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টান্সফোর্স (এনসিটিএফ) উদ্যোগ এ কার্যক্রম শুরু হয়। পরে প্রতীকি উপজেলা চেয়ারম্যান বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,কন্যা শিশুদের জন্য পার্ক,কন্যা শিশু দের জন্য খেলার মাঠের প্রস্তাব দেন। প্রতীকি দায়িত্ব পাওয়া চেয়ারম্যান ওই স্কুল ছাত্ররীর সুপারিশ সমূহ আমলে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি-উল-কবির বলেন,নারীর অবদান এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। আজ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে নারীরা। আজকের তরুণ প্রজন্ম ও নারীরাই একদিন দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমরা নারী বান্ধব উপজেলা ও নারীর সংহিংসতা রোধে কাজ করবো এবং স্কুল ছাত্রীর সকল সুপারিশ আমরা বাস্তববায়ন করার চেষ্টা করবো।
এনসিটিএফ তালতলীর সাধারণ সম্পাদক নাদিম মোস্তফার সভাপতিত্ব ও শিশু সাংবাদিক
খুকুমণি কর্মকারের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্কফোর্স কমিউনিটি বেজড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট‘র সিবিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মো: জাকির হোসেন মিরাজ। তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র,ছাতন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু সিদ্দিক, প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফেজ গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো.খাইরুল ইসলাম , সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইউসুফ আলী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাইরাজ মাঝি , সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে সমন্নয়কের দায়িত্বে ছিলেন তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক জিয়াউল হক রুবেল।
শিশু নির্যাতন, বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে সুমাইয়া আক্তার। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে সে বলে, এ উপজেলার উন্নয়নই আমার স্বপ্ন। আমি নিজেই একজন শিশু। কিন্তু আমি এত বড় একটি দায়িত্ব পেয়েছি, সেজন্য গর্ববোধ করছি। দিনটি তার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানায় সে।