প্রকাশ: বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২, ৯:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা পাইকগাছায় বন্ধ হয়নি ভেজাল সরিষার তেল উৎপাদন ও বিক্রি। সাধারন ক্রেতা ভেজালের বিরুদ্ধে কথা বললে উল্টো লাি ত হতে হচ্ছে। সরিষার তেল কিনে প্রতারিত হয়েছেন উপজেলার নোয়াকাটি গ্রামের মৃত দ্বীন আলী সরদারের ছেলে আব্দুল মজিদ। তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৩/২৪ তারিখ কপিলমুনিস্থ উৎসব অয়েল মিলের সত্ত্বাধিকারী খায়রুল ইসলামের মিল থেকে ৩ কেজি সরিষার তেল ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত তেল বাড়িতে নিয়ে রাখলে ৪/৫ দিন পর থেকে তেল জমতে থাকে। বোতল জাতকৃত তেলের নিচের অংশ মূল তেল থেকে আলাদা রং ধারণ করে। এতে ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় ৮ অক্টোবর তেলের বোতল নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অভিযোগ করলে অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো ওখানকার কর্মচারী আব্দুল মজিদকে নানা প্রশ্নের সম্মুখিন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
অবশেষে ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও মমতাজ বেগম।
উল্লেখ গত ১১ এপ্রিল কপিলমুনি বাজারে সরিষার তেলের সাথে পাম অয়েল, রাইস ব্রান্ড ও ক্ষতিকর রং ব্যবহার করে ভেজাল সরিষার তেল উৎপাদনের দায়ে ৪ মিল মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। র্যাব-৬ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। ডিএস অয়েল মিল, কপিলমুনি অয়েল মিল, বিনোদ অয়েল মিল এবং উৎসব অয়েল মিল নামের চারটি অয়েল মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাজারের অয়েল মিলগুলো সরিষার তেলের সাথে পাম অয়েল, রাইস ব্রান্ড, ক্ষতিকর রং ব্যবহার করে ভেজাল সরিষার তেল উৎপাদন করে। যা বিভিন্ন এলাকায় খাঁটি সরিষার তেল হিসেবে বিক্রি করে তারা। এছাড়া ওই মিলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।
অভিযানে ডিএস অয়েল মিলকে এক লাখ, কপিলমুনি অয়েল মিলকে এক লাখ, বিনোদ অয়েল মিলকে দুই লাখ এবং উৎসব অয়েল মিলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমান পরও বন্ধ হচ্ছে না ভেজাল তেল উৎপাদন ও বিক্রি। সর্বশেষ অভিযোগের বিষয় উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা উদয় কুমার মন্ডল বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।