প্রকাশ: বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর ইসির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের হানিফ বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। ঢাকায় কমিশন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিল- তা বোধগম্য নয়।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'প্রথমে নানা অনিয়মের কারণে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম পুরো নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার। সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। সেখানে আর ভোট হচ্ছে না। ভোটের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। বন্ধ হওয়া ভোটের বিষয়ে আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
সিইসি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় আমরা সমগ্র নির্বাচনী এলাকা, গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনী এলাকার ভোট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ আসনের ১৪৫ কেন্দ্রের সবগুলোতেই এবার সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। ভোট হচ্ছিল ইভিএমে। ঢাকার নির্বাচন ভবনে স্থাপিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয় কেন্দ্রের পরিস্থিতি। গোপন কক্ষে অবৈধভাবে একাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনা সরাসরি দেখার পর বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক দফায় অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে গোটা নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা আসে।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহীদ (লাঙ্গল), বিকল্প ধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান (আপেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নেন।
অন্যদিকে, ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন থেকে নৌকার প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই সরে দাঁড়িয়েছেন। দুপুরে গাইবান্ধার বগারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ ৪ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।