২০৯ রানের কঠিন লক্ষ্য। তবু সাউদি-বোল্টদের তোপ সামলে অনেকটা সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান যেভাবে খেলেছেন, আরেকজন ব্যাটার এমন খেলতে পারলে হয়তো ভিন্ন কিছুই হতো। কিন্তু সেই কাজটা কেউ করতে পারলেন না। ফলে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
চলমান সিরিজে এই নিয়ে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হারল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে, পরের দুই ম্যাচে পরাজয় দেখল স্বাগতিকদের বিপক্ষে। অন্যদিকে টানা তিন জয়ে সিরিজের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। আর বাংলাদেশ ছিটকে গেল ফাইনালে যাওয়ার লড়াই থেকে।
ক্রাইস্টচার্চে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৮ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৬০ রানে থামে বাংলাদেশ।
আজ টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা। দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও কনওয়ে মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৪৫ রান।
পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ফিরিয়ে দেন ঝড় তোলা ফিন অ্যালানকে। তিন ছক্কা আর দুই বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ৩২ রান করেন কিউই ওপেনার ।
অ্যালান ফিরলেও থিতু হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। সেই জুটিতে মাত্র ৫৪ বলে ৮২ রান পায় কিউইরা। এক পাশে তাণ্ডব চালান কনওয়ে, অন্য প্রান্তে মার্টিন গাপটিল। জমে ওঠা এই জুটি ভাঙেন ইবাদত। ফেরান ৩৪ রান করা গাপটিলকে।
এরপর ছুটতে থাকা কনওয়ের তাণ্ডব থামান সাইফউদ্দিন। কিন্তু তিনি ফিরলেও নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচলই ছিল। কারণ ততক্ষণে উইকেটে থিতু হয়ে যান গ্লেন ফিলিপস। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনদের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘোরান তিনি। তুলে নেন দ্রুত হাফসেঞ্চুরি। তাঁর শেষের ঝড়ে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ৪০ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কা দিয়ে। অন্যদিকে মাত্র ২৪ বলে দুই চার ও ৫ ছক্কায় ৬০ রান করেন গ্লেন ফিলিপস।
বাংলাদেশি বোলাররা সবাই দেদারসে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। ইবাদতও নেন দুটি উইকেট। সমান ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে একটি নেন শরিফুল। সাকিব ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। তিনি বিদায় নেন ১১ রানে। এর পর হারায় লিটন দাসের উইকেট। তবে উইকেটে থিতু হয়ে লম্বা সময় লড়াই করেন সাকিব। কিন্তু তাঁর লড়াইয়ের পরও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ করা সাকিব করেন ৭০ রান। ৪৪ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়। এ ছাড়া সমান ২৩ রান করে করেন লিটন ও দলে ফেরা সৌম্য সরকার। শেষ দিকে নেমে ইয়াসির আলি করেন ৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২০৮/৫ (কনওয়ে ৬৪, ফিলিপস ৬০; সাইফউদ্দিন ২/৩৭, এবাদত ২/৪০ শরিফুল ১/৪১)
বাংলাদেশ: ১৬০/৭ (সাকিব ৭০, সৌম্য ২৩, লিটন ২৩; মিলনে ৩/২৪, সাউদি ২/৩৬, ব্রেসওয়েল ২/৩৯)