প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের ১৮ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস)।
এতে বাতাসের গতিবেগ ঘূর্ণিঝড় সিডর কিংবা আম্পানের মতো হতে পারে, যা ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
সোমবার কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সরাসরি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে সুপার সাইক্লোন হিসাবে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের স্থল ভাগে আঘাত হেনেছিল। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রায় একই স্থানে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের বায়ুচাপ ৯৪১ মিলিবার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। একই সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এ গতিবেগে উপকূলে আঘাত করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ঠিক একই পরিমাণ হবে যেমনটি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় সিডর এর কারণে ২০০৭ সালে খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডাব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এসকেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে।
নামের ক্রম অনুযায়ী এবার বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘সিত্রাং’। ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া।