নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের কাঞ্চন গ্রামে কাঞ্চন মোড় হতে মাজার পর্যন্ত সড়ক পাকা করন কাজে নিম্নমানের ইট/ খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং নিম্নমানের খোয়া পরিবর্তন করার দাবী । এর পরও ঠিকাদার রাতের আধারে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঞ্চন মোড় হতে গ্রামের ভেতর দিয়ে মাজারের দিঘীর পাশ দিয়ে নদীর বেরীবাধে মিলিত হয়েছে রাস্তা, এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী সহ মাজারে আসে এলাকার বাহিরের হাজার হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর বাঁধায় কাজ বন্ধ আছে খোয়া গুলো স্তুপ করে রাখা হয়েছে খোয়া গুলোতে অর্ধেক পরিমান রাবিশ ও ঢিলা ইটের টুকরো হাত দিয়ে চাপা দিলে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
রাস্তাটি দীর্ঘ দিন আগে পাকাকরণ করা ছিল পাথর ইট খোয়া উঠে যায় আবার সেটি নতুন করে সংস্কারের টেন্ডার হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ৯ শত ৪৭ মিটার এই রাস্তার জন্য ৩৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৪/৫ মাস হলো রাস্তায় কাজ শুরু করেছেন রাজশাহীর ঠিকাদার সালাউদ্দিন । খোয়া বিছানোর কাজ চলছে। এদিকে রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে এলাকাবাসী সংস্কারকাজ দফায় দফায় বন্ধ করে দেন।
সব শেষে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাতের আধারে রাস্তায় রাবিশসহ নিম্ন মানের খোয়ো ফেলার সময় এলাকাবাসী আবার বাধা দেন তারা কাজ বন্ধ করে চলে যান। সেই সঙ্গে ঠিকাদারকে বলেন, ভালো ইট দিয়ে কাজ করতে।
এলাকাবাসী বলেন গ্রামীন সড়ক হলেও এখানে মাজার থাকার কারনে অনেক মানুষ আসা যাওয়া করেন, শ্যামনগর কাটাবারী, ফিমপুর সহ এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল এবং ধান সহ বিভিন্ন ফসল মালামালের গাড়ী যাতায়ত করে এই রাস্তায় তাই এই নিম্ন মানের ইট খোয়া ব্যবহার করলে ৬ মাসও টিকবে না।
এদিকে দির্ঘ দিন হলো শুরু হয়েছে কাজ কিন্তু শেষ হচ্ছে না এই অবস্থায় রাস্তায় ভ্যান অটো চার্জার চালকরা বলে বেহাল এই রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ী চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে ভ্যান গাড়ী বিকল হচ্ছে চাকা লিক হচ্ছে যন্তাংশ টিকছে না তাই তারা দ্রুত কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ইমন চৌধুরী ,মিজান, সুমন,মনজুরুল, ইয়াছিন, ফরিদা, রুমি সহ একাধিক নারী পুরুষ বাসিন্দারা জানান পোড়া মাটি, তিনের ঢিলা নিম্ন মানের খোয়া ফেলা হচ্ছে বাধা দিলে দুএক গাড়ী পরিবর্তন করে আবার খারাপ খোয়া ফেলছে।
কাজ দেখাশুনা করা মিস্ত্রীদের ফোরাম্যান আমিনুল বলেন, যে খোয়া আনা হয়েছে তাতে ৪০শতাংশ রাবিশ মিশ আছে।
ঠিকাদার সালাউদ্দিন মুঠোফোনে জানান, শিডিউল অনুযায়ী যেভাবে করার কথা সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে। খোয়া পরিবর্তন করা হবে না ভাল খোয়া দিয়েই কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডির পত্নীতলা উপজেলা প্রকৌশলী সৈকত দাস বলেন এর আগে অভিযোগ পাওয়ায় আমি সাইট পরিদর্শন করে খোয়া পরিবর্তন করতে বলেছি, দেখছি বিষয়টি উর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলবো।