প্রকাশ: সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নশরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীতে অবাধে চলছে মা ইলিশ নিধন। অন্যদিকে চলছে অভিযান। উপজেলার চরআত্রা লেকু বেপারীর কান্দী এলাকায় মা ইলিশ ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। দিনের চেয়ে রাতে ইলিশ শিকার হয় বেশি।
জানা গেছে, পদ্মা নদীতে বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এক দফা নদীতে জাল ফেলে সন্ধ্যায় জাল তুলে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। রাতে আরেক দফা নদীতে জাল ফেলে সকালে মাছ নিয়ে তীরে আনা হয়। কেউ নৌকা থেকে নামিয়ে নদীর তীরের ঝোঁপ-জঙ্গলে, আড়ৎদে ও কচুরিপানার মধ্যে মাছ লুকিয়ে রাখাছে। কিছু ব্যক্তি মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে গিয়ে এ সব মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
এ দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন পুলিশ সঙ্গে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। পদ্মার সীমানার একদিকে অভিযানে গেলে অন্যদিকে অসাধু জেলেরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা। তবে চরআত্রা তেমন কোনো অভিযান না হওয়ায় এ এলাকায় জনপ্রতিনিধি, নেতাদের সহায়তায় অবাধে চলছে ইলিশ শিকার।
সোমবার নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা লেকু বেপারীর কান্দী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ে মা ইলিশ শিকার করে ঘাটে এনে হাট বসিয়েছেন আড়ৎদাররা। অনেক ক্রেতাই ঘাট থেকে এ সব ইলিশ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযানে জাল ও ইলিশ আটক করলেও থেমে নেই ইলিশ ধরা। অভিযান পরিচালনার আগেই খবর পৌঁছে যাচ্ছে জেলেদের কাছে। নিষিদ্ধ এ সময়ে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি বন্ধে যারা কাজ করবে, তাদের সহযোগিতায়ই নদীতে অবাধে মা ইলিশ শিকার করছে জেলেরা।
নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতি.দাঃ) মোঃ জাকির হোসেন মৃধা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান অব্যাহত আছে। চরআত্রা লেকু বেপারীর কান্দী এলাকায় মা ইলিশ ধরার খবর পেয়ে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে কথা বলেছি, চেয়ারম্যান জানিয়েছেন তিনি গিয়ে মাছ বিক্রির স্থান ভেঙেচুরে দিয়েছেন।