কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিট কর্মান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকুকে হত্যার হুমকীর প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে চত্তর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিন করে জেলা পরিষদ চত্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক টুকু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমেদ সহ অন্যান্যরা।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা অবিলম্বে ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদকে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নেয়ার দাবি জানান।
পরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাফর আলী মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিলে সমাবেশ স্থল ত্যাগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এর আগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদের বিচারের দাবিত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড়স্থ রুপসী বাংলা রেষ্টিুরেন্টের সামনে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু দলবলসহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কথাকাটাকাটি হয়।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকু জানান, আমার চাওয়া হলো এই হাইব্রীড, দুস্কৃতিকারী ছাত্রলীগে থাকতে পারে না। এতে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হবে। অবিলম্বে তদন্তপুর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ জানান, মজিদা কলেজের ফরম পুরণে সাধারণ ছাত্রদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রতিবাদ ও আসন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন নিয়ে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। এ সময় কথাকাটির ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।