শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতির মাইলফলকে বাংলাদেশ: ড. শাহিনূর রহমান
প্রকাশ: সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসেছে সেটা হচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ আর এই অদম্য বাংলাদেশের কাণ্ডারি হচ্ছেন এই বর্তমান সমসাময়িক বিশ্বে সব থেকে আলোচিত একজন মানুষ, তিনি হচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা, সাহসিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ বিশ্ব নন্দিত। এক সময়ে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন ফিরে পেয়েছে ঐতিহ্য।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৫২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসেছে সেটা হচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ আর এই অদম্য বাংলাদেশের কাণ্ডারি হচ্ছেন এই বর্তমান সমসাময়িক বিশ্বে সব থেকে আলোচিত একজন মানুষ, তিনি হচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম হয় তার। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে যেভাবে একজন রাষ্ট্রপতিকে সহ তার পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো সেখানে নিজের পরিবারের সবাইকে হারিয়েও এই দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে এই দেশ ও দলের হাল ধরলেন সেটা আমরা আর অন্য কারও মধ্যে দেখতে পারেনি। এমন একটা অবস্থায় মাথা ঠা-া রেখে দেশের হয়ে কাজ করার জন্য মানসিকভাবে নিজের সুস্থ রেখে কাজ করাটা এটা ছিল একটা বিরল ঘটনা। আজকে সেই শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে এখন বিশ্ববাসীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশকে সেই বিপরীতমুখী অর্থাৎ সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশের ফেরার পর তাদের সেই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠেনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলার মাটিতে নেমে বলেছিলেন স্বজনহারা শেখ হাসিনা, ‘আমার হারাবার আর কিছু নেই। বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে হারিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। আমি আপনাদের কাছে শপথ করছি, আমার দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যাব।’ পঁচাত্তরের পরে নিজের পরিবারকে হারিয়ে যেভাবে মাথা ঠাণ্ডা করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে গিয়েছেন ও যাচ্ছেন তার কারণেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আলোচিত নাম।