প্রকাশ: রোববার, ৯ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় জনপদ মোংলায় হঠাৎ একটি কালো মুখো হনুমানানের আগমন ঘটেছে। গত দুইদিন যাবত বন্দরের পিকনিক কর্ণার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হনুমানটি বিচারণ করছে। এটি সুন্দরবনের বন্যপ্রানী না হলেও দেশের বিভিন্ন অ ল থেকে সুন্দরবন ভ্রমনে আসা পর্যটক ও স্থানীয় কৌতুহলীরা হনুমানটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। বন বিভাগ বলছে, এখন পর্যন্ত কাউকে কোন ক্ষতি না করলেও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে এটিকে উদ্ধার করার জন্য। তাদের পক্ষ থেকে প্রানীটি উদ্ধার করে তাদের আবাস স্থালে ফিড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানায় করমজল বন্যপ্রানী বিশেষজ্ঞ আজাদ কবির।
বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, গত দুইদিন যাবত মোংলা বন্দরের পর্যটক ঘাট পিকনিট কর্ণার এলাকার ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি বড় আকারের কালো মুখো পুরুষ হনুমান। শনিবার (৮অক্টোবর) ভোরে হঠাৎ একটি গাছের উচু মগডালে হনুমানটির দেখা মিলে। এ অ রেল নতুর রুপের এ প্রানীটি দেখতে ভির জমায় হাজারো মানুষ। পরে গাছ থেকে নেমে খাবারের জন্য একটি দোকানে উঠে পরলে দোকানী তাকে খাবার দেয়। এ অ লের বিরল প্রজাতির অস্থির এ প্রণিটি ছুটে বেড়াচ্ছে সব জায়গায়। কখনও গাছের মগডালে, কখনো দোকানের মধ্যে বা বাড়ীর ছাদে। আবার কারো রাস্তার গাছের সাথে হেলান দিয়ে ও শুনে বিশ্রাম নিচ্ছে। হনুমানটিকে একনজর দেখতে দুর দুড়ন্ত থেকে সুন্দরবনে সৌন্দার্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীসহ আশপাশের দোকানপাটের লোকজন ও পথচারী উৎসুক মানুষও পিছু নিচ্ছে। তবে কারো কোন ক্ষতি না করলেও মানুষ দেখে হনুমানও অস্থিরতা বোধ করছে বলে জানায় ওখানকার ব্যাবসায়লা। কিছু সময় পর পর খাবার না পেয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে প্রানীটি। তবে মাটিতে নেমে আসার পর অনেককেই বিস্কুট, বাদাম, রুটি ও কলা দিতে দেখা গেছে। কালো মুখো এ হনুমানটি ভাত, মাছ-মাংস না খেলেও পর্যটকদের রান্নার জায়গায়ই অবস্থান নিতে দেখা গেছে বেশীরভাগ সময়।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ভারতের বর্ডার থেকে দলছুট হয়ে ফলের গাড়িতে অথবা অন্য কোন এলাকা থেকে চলে এসেছে। খাবারের সন্ধানেও লোকালয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। হনুমানটির মধ্যে সভ্য-শান্ত ভাব দেখা গেছে। তবে গত দুই দিনে এখন পর্যন্ত কারো কোনো ক্ষয়-ক্ষতি করেনি এ প্রানীটি।
সুন্দরবন পর্যটক স্পট ও করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বরেন, এ অ লে বন্যপ্রানীর মধ্যে বানরই বেশী বিচারণ করে। তবে এ এলাকায় এটি বিরল, হনুমান আসার খবর শুনে এসেছি। এটি সুন্দরবনের বন্যপ্রানী না হলেও হনুমানটি উদ্ধারে বন্যপ্রাণীসংরক্ষন টিম ও বন বিভাগ ব্যাবস্থা নিচ্ছে, তবে এলাকার মানুষকে হনুমানটিকে উত্ত্যক্ত না করারও অনুরোধ জানায় বন বিভাগ। এছাড়াও সুন্দরবনের সকল বন্যপ্রানী না মেরে বন বিভাগকে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে পুনরায় বনে অবমুক্ত করতে সহায়তা করার অনুরোধ জানায় বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বন্যপ্রানীর নতুন অতিথি, তাই করমজলে এ ধরণের নতুন নতুন বন্যপ্রানী রাখার দাবী দুর দুড়ন্ত থেকে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের।