কক্সবাজার শহরের গণপূর্ত বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে মালিকপক্ষের দায়িত্বহীনতায় জাম্বু ও হাশেম নামের দুই শ্রমিক এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এতে হামিদ নামে আরেক শ্রমিক হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।
৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রামু মিঠাছড়ি এলাকার আশরাফের নির্মাণাধীন ভবনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকরা হলেন, সমিতি পাড়া এলাকার সোলায়মানের ছেলে হাশেম (৩৯) ও জাম্বু) (২৬) আহত শ্রমিক হলেন মোঃ হামিদ (৩৬)।
ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সদস্য ও স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভবনটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো গণপূর্ত বিভাগ ও কউক। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে আবারও কাজ শুরু করে মালিকপক্ষ।
এদিকে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার সাথে জড়িত মোস্তাক, আশরাফ, সাইফুল, আবুল সহ ৬/৭ জন ব্যক্তি আত্মগোপনে গিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৩০ লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে । এছাড়া নিহতদের স্বজনদের হুমকি ও প্রলোভন দেখিয়ে থানায় এজাহার না দিতে চাপ প্রয়োগ করছে।
এছাড়া নিরীহ, অসহায় ও গরীব লোকজনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে হত্যার মতো অপরাধ করেছেন জড়িতরা। কিন্তু জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়া উচিত। এ অবস্থায় অভিযোগ উঠেছে উল্টো একটি দালাল সিন্ডিকেট বিনা ময়নাতদন্তে ও মামলা না করেই লাশ দাফনে কতিপয় সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ম্যানেজে করতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে।
এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম ও ওসি তদন্ত সেলিম উদ্দিন নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি তদন্ত সেলিম উদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্মাণাধীন ভবনে সেফটি টাংকির ভেতরে কাজ করতে গিয়ে দুইজন শ্রমিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন এখনো পর্যন্ত কোন এজাহার দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রে জানা যায়, হোটেল মোটেল জোনের গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমিতে এক যুগে ১০-১২টি অবৈধ ভাবে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। প্রতিযোগিতামূলক এই নির্মাণ কাজে রামু মিঠাছড়ি এলাকার আশরাফের নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে ভবন নির্মানকারী আবুল কন্ট্রাক্টর শ্রমিকদের লোভনীয় বাড়তি বেতন দিয়ে রাতের আঁধারে ও সরকারি ছুটির দিনে কাজ করান।
নিহত শ্রমিক হাশেমের স্ত্রী হাসিনা বিবি বলেন, আমার স্বামী কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন। মামলা করতে পারব কিনা এখনো জানিনা। তবে লাশ পোস্টমডেম না হওয়ার জন্য চাচ্ছি।