রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
হাওর উন্নয়নে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ফারজানা আকতার
প্রকাশ: রোববার, ৯ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৪৫ পিএম আপডেট: ০৯.১০.২০২২ ৭:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আমাদের দেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো "নদীমাতৃক বাংলাদেশ"। তাই এখানে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য হাওর, বাঁওড় ও জলাভূমি। হাওর হলো সাগরসদৃশ পানির  বিস্তৃত প্রান্তর। প্রচলিত অর্থে হাওর হল বন্যা প্রতিরোধের জন্য নদীতীরে নির্মিত মাটির বাঁধের মধ্যে প্রায় গোলাকৃতি নিম্নভূমি বা জলাভূমি। তবে হাওর সব সময় নদীতীরবর্তী নির্মিত বাঁধের মধ্যে নাও থাকতে পারে। হাওরের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতি বছরই মৌসুমী বর্ষায় বা স্বাভাবিক বন্যায় হাওর প্লাবিত হয়, বছরের কয়েক মাস পানিতে নিমজ্জিত থাকে এবং প্রতিবছর মৌসুমী বৃষ্টির সময় পানিপূর্ণ হয়ে উঠে। সমগ্র বর্ষাকাল জুড়ে হাওরের পানিকে সাগর বলে মনে হয় এবং এর মধ্যে অবস্থিত গ্রামগুলোকে দ্বীপ বলে প্রতীয়মান হয়। শুষ্ক মৌসুমের শেষের দিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। 

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর অঞ্চল দেখতে পাওয়া যায় তন্মধ্যে হাকালুকি হাওর,  টাক্সগুয়ার হাওর,  নিকলি হাওর ইত্যাদি অন্যতম। হাওর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। কিছু কার্যকর পদক্ষেপ ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে হাওরের এ স¤পদকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না এবং এগুলো অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মূলত, সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও আšতরিক প্রচেষ্টার অভাব রয়েছে। এ কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হাওর ধুঁকছে। হাওর এলাকার পরিবেশ ও প্রকৃতি অত্যšত নাজুক। যেখানে-সেখানে রা¯তাঘাট তৈরি করে বা বাঁধ দিয়ে হাওরের স্বাভাবিকতা নষ্ট করা হচ্ছে। এ বছর বছর অকালবন্যায় ফসলহানি, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, বজ্রপাতে মৃতু্যু, ফসলে রোগবালাইয়ের কারণে হাওর এলাকা মারাÍকভাবে ক্ষতিগ্র¯ত হয়েছে। অপরিকল্পিত বাধের জন্য ধ্বস নামছে মাটিতে। হাওর এর নরম মাটি চাপ সহ্য করতে পারে না। এ মুহূর্তে হাওরের পরিবেশ রক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার। হাওর নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। 

হাওর এর উন্নয়নের জন্য গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার'রা অনেক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়াররা পরিবেশগত সমস্যার সমাধান তৈরি করতে ইঞ্জিনিয়ারিং, সয়েল সাইন্স, জীববিজ্ঞান এবং রসায়নের নীতিগুলি ব্যবহার করেন। তারা পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য নি®পত্তি, জনস্বাস্থ্য, এবং জল ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ উন্নত করতে কাজ করে। প্রতিকূল পরিবেশগত প্রভাব, যেমন দূষণ, সেইসাথে পরিবেশের গুণমান উন্নত করার প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করার সাথে স¤পর্কিত। পরিবেশ প্রকৌশলীরা পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য নি®পত্তি, জনস্বাস্থ্য, এবং জল ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের উন্নতির জন্য কাজ করে। হাওর এর অবক্ষয়ের কারণ ও উন্নয়নের উপায় বের করা হচ্ছে। অন্যতম বিশেষ কারণ গুলো 
- আকস্মিক বন্যা
- প্রধান নদীগুলোর পলি জমা এবং অবক্ষেপণ নদী তীর ক্ষয় এবং অতিরিক্ত ঢেউ
- নাব্যতা হ্রাস
- সঠিক স্যানিটেশনের অভাব
- পানীয় জলের অভাব
- ভক্সগুর এবং অপর্যাপ্ত সড়ক নেটওয়ার্ক
- বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয়
- এলোপাতাড়ি প্রাকৃতিক স¤পদ উত্তোলন 
- মৎস্য স¤পদের এবং জলাভূমি বনের অতিরিক্ত শোষণ
- মৎস্য চাষের জন্য ইজারা ব্যবস্থায় দুর্বলতা
- নিরক্ষরতা
- দারিদ্র্য
- অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা
- অপর্যাপ্ত অবকাঠামো
অনেক গবেষণা এবং এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়াররা কিছু সমাধান এবং কৌশল দিয়েছেন, যার হাওর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. উন্নত পানি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
হাওর এলাকাগুলো পানিসম্পদ সংক্রাšত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবস্থাপনা যেমন আকস্মিক বন্যা, ঢেউয়ের ক্ষয়, ড্রেনেজ ভিড়, সেচের পানির অভাব শুষ্ক মৌসুম, অপর্যাপ্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেট আপ এবং তহবিল, ইত্যাদি এই সব সমস্যা যৌগিক হয় জলবায়ু প্রবর্তিত পরিবর্তনের হুমকি। হাওর এলাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হল যেকোনো ধরনের বিপদ থেকে জানমাল রক্ষা করা। যেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জল সংক্রাšত দুর্যোগের (যেমন আকস্মিক বন্যা) অগ্রাধিকার দিয়েপ্রশমনের পাশাপাশি দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই থিম্যাটিক এলাকা জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কভার জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত পানি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ এবং সরকারের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নীতি নির্দেশাবলী।

২. খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি উন্নয়ন
এই থিম্যাটিক এলাকা শস্য, মৎস্য, মুক্তা সংস্কৃতি এবং পশুস¤পদ উপখাতকে অšতর্ভুক্ত করে হাওরবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারির্দ্য বিমোচন। কৃষি একটি ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যা প্রায় ২১% অবদান রাখে জিডিপি, প্রায় ৫২% শ্রমশক্তির জীবিকা নির্বাহ করে এবং রয়ে গেছে একটি প্রধান সরবরাহকারী কৃষিভিত্তিক শিল্পের কাঁচামাল। সামাজিক সমস্যা যেমন খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, আয় প্রজন্ম এবং দারিদ্র্য হ্রাস ও কৃষির সাথে সম্পর্কিত। তাছাড়া এটা সবচেয়ে বড় উৎস বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে ভোগ্যপণ্য সহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার। এলাকা তাই কৃষি খাতের কর্মক্ষমতার উন্নতি এবং এর প্রবৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত হচ্ছে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তা সংস্কৃতি অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একটি নতুন-মাত্রা খুলতে পারে হাওর এলাকা। 

৩. জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি এবং জলাভূমি ব্যবস্থাপনা
এই কৌশলগত থিম্যাটিক এলাকা জীববৈচিত্র্য এবং জলাভূমি এবং বনের উন্নয়নকে কভার করে হাওর এলাকায় স¤পদ। হাওর অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য একে একটি অনন্য জলাভূমি বাস্তুতন্ত্রে পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থান, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং জীবিকার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পৃথক এই জলাভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে, যার অনেক অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত মূল্য রয়েছে, এর পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক স¤পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন পরিবেশ ও এলাকার দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন। বাংলাদেশের জাতীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলাভূমির বিচক্ষণ ব্যবহার নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে স¤পদ হিসেবে দেশটি অনেকগুলো আšতর্জাতিক চুক্তি/প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলাভূমি, যেমন জীববৈচিত্র্য কনভেনশন এবং রামসার সম্মেলন। সুতরাং, সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার উপর কৌশলগত বিকল্পগুলি দেশের জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন। 

৪. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং উন্নত জীবনযাত্রার মান
জিওবি-র লক্ষ্য দারিদ্র্য নিরসন অর্জন করা যা সরাসরি সকল প্রকার দরিদ্রদের উপকৃত করার লক্ষ্যে। অতি-দরিদ্র এবং প্রতিবন্ধী সহ। ভিশন ২০২১ একটি শক্তিশালী এবং প্রসারিত সামাজিক উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, যা দরিদ্রদের সকল প্রকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক থেকে রক্ষা করবে ধাক্কা চজঝচ ওও, ২০০৯ এবং ষষ্ঠ প বার্ষিক পরিকল্পনা দারিদ্র্যের জন্য কৌশলগত নির্দেশিকা প্রদান করে হ্রাস এই কৌশলগত বিষয়ভিত্তিক এলাকা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন, আবাসনকে একীভূত করে এবং সেটেলমেন্ট এবং সামাজিক সেবা খাত সামাজিক নিরাপত্তা নেট প্রদান এবং উন্নত মান হাওরবাসীর জন্য বেঁচে থাকা। জীবন ও জীবিকার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের অংশগ্রহণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনগণের ক্ষমতায়ন সামাজিক প্রদানের মূল উপাদান মানুষের দুর্বল গোষ্ঠীর সুরক্ষা। সামাজিক নিরাপত্তা জাল বা "আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা জাল" দরিদ্র এবং যারা দুর্বল তাদের সুরক্ষার জন্য অ-অনুদানমূলক স্থানাšতর কর্মসূচি একটি নির্দিষ্ট দারিদ্র্য ¯তরের নিচে নেমে যাওয়া থেকে ধাক্কা এবং দারিদ্র্য। 

৫. উন্নত ভৌত অবকাঠামো 
এই কৌশলগত থিমটি ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, পরিবহন এবং পর্যটনের সাথে স¤পর্কিত। হাওর এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধারণভাবে আ লিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং বিশেষ করে দরিদ্রপন্থী প্রবৃদ্ধি। সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, পর্যটন সুবিধা ইত্যাদির মতো অবকাঠামো নির্মাণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পর্যটন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করে। 

৬. এন্টারপ্রাইজ এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন
এই কৌশলগত থিম শিল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই), শক্তি এবং শক্তি, এবং খনিজ স¤পদের টেকসই নিষ্কাশন এবং ব্যবহার। হাওর এলাকায় এসএমই উন্নয়ন হবে সাধারণভাবে আ লিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এবং বিশেষ করে দরিদ্রপন্থী প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে। উন্নয়ন কৃষিভিত্তিক শিল্প এবং খনিজ স¤পদের টেকসই ব্যবহার অর্থনৈতিক জন্য বাহিত হবে এলাকার পাশাপাশি সমগ্র দেশের উন্নয়ন। এই বিষয়গত এলাকা শিল্প কভার প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের উন্নয়ন, অনুসন্ধান ও উত্তোলন, উপযুক্ত নুড়ি, বালি সংগ্রহ এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জড়িত সঙ্গে আবার পাথর। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে দরিদ্র।

কৌশলগত বিষয়ভিত্তিক এলাকাগুলোকে উন্নয়ন এলাকায় একীভূত করা হয়েছে। হাওর আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্য, বৈশিষ্ট্য এবং সম্পদের উৎস। হাওর এর উন্নয়ন, দূষণ রোধ, অবক্ষয় রোধ শুধু এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব নয়, সরকার, লোকাল মানুষ এবং সর্ব¯তরের জনগণকে দায়িত্বশীল হতে হবে। 

লেখক: শিক্ষার্থী, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]