প্রকাশ: শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৬:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর শাখা হয়ে কীর্তিনাশায় ঢুকলে বেশ কয়েকটি জায়গায় নৌপরিবহনে চলে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। নৌযান সংশ্লিষ্টরা জানায় টোল আদায়ের নামে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা গুনতে হয় তাদের। চাঁদা না দিলে অস্ত্রের মুখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে লুট করা হয় সর্বস্ব। শুধুমাত্র ঘাট ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ টাকা ইজারা ধার্য করা থাকলেও মানছে না কেউ। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র মন্ত্রীর নামে এই চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদা আদায় কারী এক কিশোর বলে, যারা এইখান দিয়ে বালু নিয়ে যাবে তাদের থেকে ভিপি মোস্তফার নির্দেশে চাঁদা আদায় করা হয় এটা মন্ত্রীর নির্দেশ।
ভিপি মোস্তফা বলেন, আমার নামে যদি কেউ টাকা উঠায় আইনগতভাবে যা বিচার হয় তাই মেনে নিব।
তবে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এ ব্যাপারটি অস্বীকার করে বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় সাঁড়াশি অভিযান চালানোর আমার নির্দেশ রয়েছে।
নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক বলেন, নাড়িয়া বালু উত্তোলন কারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসন একাধিক বার অভিযান চালিয়ে। তার পরেও তারা কাউকে না কাউকে ম্যানেজ করে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবির হোসেন বলেন, যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকে সেই সংক্রান্ত কেউ যদি অভিযোগ দায়ের করে তাহলে অবশ্যই আমরা এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।