গণতান্ত্রিক মূল্যবোধচেতনা, শোষণ এবং অর্থনৈতিক মুক্তির ত্রিমাত্রিক ভাবনা ছিল বঙ্গবন্ধুর : ড.কলিমউল্লাহ
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪৩১তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ও নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর শিল্পী।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা, যশোর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূর এ আলম জাহিদ এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন,গণতান্ত্রিক মূল্যবোধচেতনা, শোষণ এবং অর্থনৈতিক মুক্তির ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধুর জাতীয়তাবাদী ভাবনার মূল কথা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, মেধা পাচারের সঙ্গে আমাদের অর্থপাচারও হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড দেশপ্রেমহীনতা এবং নৈতিকতার অবক্ষয়ই এর কারণ। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নতুন প্রজন্মকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।
আমাতুন নূর বলেন,দেশের স্বার্থের কাছে, জনগণের স্বার্থের কাছে নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, দেশপ্রেম এবং জাতির পিতার আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে জাতিকে দীর্ঘ মেয়াদে খেসারত দিতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ফারহানা আকতার বলেন,বঙ্গবন্ধু প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবির আন্দোলনে অংশ নিয়ে। ১১ মার্চ ‘বাংলা ভাষা দাবি দিবস’ পালনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পুলিশি নির্যাতনের পর গ্রেফতার হন তিনি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জেলে থাকার কারণে সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নিতে না পারলেও আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছিল তারই নির্দেশনা ও পরামর্শে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভেবে জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন , নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক জোহরা তুজ জোহরা ও নুর এ আলম জাহিদ।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে এছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।