#বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ী শেখ হাসিনা: অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। #শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।
বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। যার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তিকামী মানুষেরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই একই পথে হাটছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য আলোর পথের দিশারি। তিনি বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। শেখ হাসিনা যতো দিন থাকবে ততোদিন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৫০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। যার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তিকামী মানুষেরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই একই পথে হাটছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক রোল মডেল। স্বাধীনতার পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’বলে যে ব্যঙ্গোক্তি করেছিল তা শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও ভিশনারী নেতৃত্ব সেই কথাকে মিথ্যা প্রমান করে বাংলাদেশ আজ খাদ্যভান্ডারে পরিনত হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশে রপ্তানি করারও সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয়- নিজস্ব অর্থায়নে ‘পদ্মা সেতু’র মত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার ক্যারিশ্ম্যাটিক নেতৃত্বে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরিকল্পনা মোতাবেক অবকাঠামো উন্নয়ন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা প্লাস্টিক ও বার্ণ হাসপাতাল, ১০০টি ইকোনমিক জোন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড হাইওয়ে, গভীর সমুদ্রবন্দর, রেল সংযোগসহ পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ধুমধুম রেললাইন ইত্যাদি মেগাপ্রকল্পসহ অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড/ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে বা হয়েছে। এসব বহুবিধ কারণ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নের এক রোল মডেল’-এ পরিণত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আমরা যতদিন থাকব, ততদিন বাংলাদেশকে কেউ হারাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, সঠিক কর্মপরিকল্পনায় হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মাইলফলকের ম্যাজিক। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক কর্মপরিকল্পনা আছে বলেই আজকের এই উন্নয়ন বাস্তবে দেখার সম্ভব হয়েছে। গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-এ কমে এসেছে। এ বছর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও টেকসই ব-দ্বীপে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে। খাদ্য ঘাটতি থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তথ্য প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে গত ১৩ বছরে সমগ্র দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য আলোর পথের দিশারি। তিনি বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। শেখ হাসিনা যতো দিন থাকবে ততোদিন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।