প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৮:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা জুড়ে রোপা আমন ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকা ও পচানি রোগের আক্রমণ । পোকার আক্রমণে দিনদিন পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আর কয়েকদিন পরে গাছে ধান আসার কথা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পোকার আক্রমণ। ধানগাছ প্রথমে হলুদ ও পরে শুকিয়ে বাদামি রং ধারণ করছে। কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না তারা। ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু পোকা আর পোকা।
পোকার হাত থেকে ফসল রক্ষায় বাজারে পাওয়া কীটনাশক জমিতে ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। এতে রোপা আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। তাদের আশঙ্কা, সময় মতো পোকা দমন করতে না পারলে এবার রোপা আমন উৎপাদন ব্যাহত হবে। সরেজমিনে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রামের কৃষক ভুবেশ্বর রায় জানান, তার প্রায় তিন বিঘা জমিতে পোকা আক্রমণ করেছে। কীটনাশক স্প্রে করেও এই পোকা দমন করা যাচ্ছে না। এ যাবত তিনবার কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। প্রতিবার স্প্রে করতে বিঘা প্রতি প্রায় সাত-আটশ’ টাকা করে খরচ হচ্ছে।
তার মতো একই গ্রামের কৃষক জিতেন চন্দ্র রায়, দুলাল মিয়াসহ অনেকেই জানালেন তাদের জমিতে পোকার আক্রমণের কথা। তারা বলেন, সুদে ঋণ নিয়ে এবার আমন ধান চাষ করেছেন অনেকে। ধান বের হতে না হতেই পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই পোকা ধান গাছের পাতা খেয়ে বিবর্ণ করে ফেলছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ধানগাছের হলুদ বর্ণ রোধে ও পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও পোকা দমনে ধান ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিতকরনে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন,সম্প্রতি ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এছাড়া কৃষকরা ধান ক্ষেতে কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার সময় মতো না করার কারণে পোকার আক্রমণ হচ্ছে। পোকা দমনে কৃষকদের অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।