অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
বাংলাদেশকে একসময় আখ্যায়িত করা হতো 'তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্যাগিং হলো দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নের দেশ। এইরকম নেগেটিভ ট্যাগিং থেকে আমাদের আজকের অদম্য বাংলাদেশের পথে নিয়ে এসেছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক সময়ের কথিত তলাবিহীন ঝুড়ি দারিদ্রা-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কারণে অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো, যোগাযোগব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। বিশেষত শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার ও জন্মহার কমানো, দরিদ্র মানুষের জন্য শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম অন্যতম। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল স্থাপনের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অদম্য সাহসিকতা বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী ভিতের কথাই প্রমাণ করে। অর্থনীতির অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে 'এশিয়ার বাঘ' আখ্যায়িত করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দুরন্ত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক সাফল্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন, হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার নিয়ন্ত্রণ, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারী উন্নয়ন, সর্বোপরি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর অতুলনীয় সাফল্য একজন সফল নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের অভাযাত্রায় জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অগ্রগণ্য হিসেবে
আজ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। সরকার চলতি অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের একটি বড় অংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিয়েছে যা প্রায় মোট জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ। শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। বর্তমান ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১ বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে প্রায় শতভাগে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, সরকারি বেসরকারি প্রশাসন পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রেই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্বে একটি বড় আসন দখল করেছে। পোশাকশিল্পের পাশাপাশি প্রসার ঘটেছে আবাসন, জাহাজ, ঔষুধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পের। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ঔষুধ ও বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার 'রূপকল্প ২০২১', 'ভিশন-২০৪১' সহ দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী নানা তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। দলটি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। এর জন্য তারা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা গড়যন্ত্র করছে। রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারস্থ হচ্ছে। বিদেশে নালিশ করে বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায় তারা রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি বিএনপি এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে দলটির নেতারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে বৈঠক করছে, সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করার জন্য লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বিএনপি। কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ও নালিশের ঘটনা নতুন নয়। ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, ফ্রান্স, কানাডা, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ২০ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল বিএনপি। কোনো ফায়দা লুটতে পারেনি তারা। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে দলটি। এখানেই শেষ নয়, নতুন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করছে বিএনপি। এইসব পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারকে চাপে ফেলা। বিএনপি বলছে এই অক্টোবর থেকে তারা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে। দলটি আগামী নভেম্বর ডিসেম্বরে আন্দোলনকে একটি চূড়ান্ত রূপ দিতে চাইলেও তাদের এই দিবাস্বপ্ন সফল হবে না।
সম্প্রতি মিরপুর ও বনানীর ঘটনায় বিএনপির আন্দোলন চাঙ্গা হচ্ছে বলে দলটির নেতারা মনে করছেন। বিএনপির নেতারা বলেছেন, এরকম ঘটনা যেমন সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছে তেমনি জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে এটি চাচ্ছিল যে আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতার সৃষ্টি হোক পুলিশ বাধা দিক। তাহলে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হবে এবং এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটা প্রমাণ করা সহজ হবে যে, সরকার বিরোধীদলকে রাজনৈতিক কর্মসূচিও পালন করতে দেয় না। এরকম একটি ভাবনা থেকেই বিএনপি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্পটে কর্মসূচি দিয়েছিল বলে আমার ধারণা। এমনকি কর্মীদেরকে লাঠিসোটা নিয়ে সমাবেশে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই আন্দোলনের নামে বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল সহিংস পরিস্থিতি তৈরি। বিএনপি এ ধরনের নানা ফাঁদ পাতার চেষ্টা করছে, তাতে কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের পা দেওয়া উচিত হবে না। গত কয়েক বছর ধরেই বিএনপির লবিস্ট ফার্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরকে ঘিরেও বিএনপি কয়েক কোটি টাকা খরচ করে। জননেত্রীর সফরে বিক্ষোভ মিছিল করে আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দিতে চেয়েছিল যে, বর্তমান
সরকারের ওপর প্রবাসীদের আস্থা নেই। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বেশ ভালোভাবেই স্বাগত জানিয়েছে। জো বাইডেনের সঙ্গে যেন প্রধানমন্ত্রীর কোনো সাক্ষাৎ না হয়, এই জন্য বিএনপি একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে মিলিত হন ও তাদের সংবর্ধনা দেন। এবার যেন প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত না দেওয়া হয়, সেজন্য বিএনপির লবিস্ট ফার্মরা খুব সক্রিয় থাকলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর লবিস্ট ফার্মের এই আবদার গ্রহণ করেনি।
লক্ষণীয়, বিদেশি কূটনীতিকরা জাতীয় নির্বাচনের প্রায় বছর দুয়েক আগে থেকেই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছেন। নির্বাচন কমিশন গঠনের কয়েক মাস আগে থেকেই ইসি গঠন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে আসছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন কূটনীতিকদের সীমা লঙ্ঘন না করার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, 'কখনোই চাইবো না আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থাকুক। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে যে কোনো সমস্যা আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করতে পারি। আর যদি তা না পারি, তবে কোনো বিদেশি শক্তি এসে তা সমাধান করতে পারবে না। বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দেওয়া বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ সরকার এবং রাষ্ট্রকে বহির্বিশ্বের কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের জন্য বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ঘটনা বেশ আলোচিত। এই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি সংসদ অধিবেশনে তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ঘটনাটি জাতির সামনে উপস্থাপন করেন। লবিস্টরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে স্বীকৃত; সাধারণত লবিং নিয়োগ করা হয় সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে। কিন্তু সরকার এবং রাষ্ট্রকে বহির্বিশ্বের কাছে ছোট করে স্বার্থ হাসিলের ঘটনাটি সচরাচর দেখা যায় না, যা বিএনপি করে আসছে। জানা যায়, বিএনপি এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ কোটি টাকা প্রদান করেছে লবিস্ট ফার্মকে। ২০১১-২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে যে রাজনৈতিক দলের আয় ৩৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৯ টাকা এবং ব্যয় ২৮ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার ৬৮২ টাকা, সেই দলের লবিস্ট নিয়োগের এই টাকার উৎস কী, জাতি তা জানতে চায়। লবিস্ট নিয়োগের এই বিপুল অংকের টাকা কীভাবে দেশের বাইরে পাঠানো হলো, সে বিষয়টিও উন্মোচন হওয়া দরকার।
লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বহিঃবিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে দেশের এবং সরকারের সুনাম নষ্ট করা হয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশের বাইরে অবস্থান করে বাংলাদেশ ও সরকারবিরোধী নানা নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিএনপির মূল টার্গেট যেকোনো উপায়ে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে গদিতে বসা। তাদের এই হীন প্রচেষ্টা সফল হবে না।
নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি ও রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে কূটনীতিকদের সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজপথের মূল বিরোধী দল বিএনপির নেতাদের পাশাপাশি সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গেও সম্প্রতি অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ কিংবা বৈঠক করেছেন। এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অতি উৎসাহ ও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল সৌন্দর্য হচ্ছে বিরোধিতা, গঠনমূলক সমালোচনা। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশকে আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার অধিকার সংবিধান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করেননি। বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারস্থ না হয়ে বিএনপির উচিত হবে গণমুখী রাজনীতি করা। দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কোন দল ক্ষমতায় আসবে।
লেখক: কোষাধ্যক্ষ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।