আশিকুর রহমান শিমুল। কর্মজীবন শুরু করেন একজন সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে। সে সুবাদে জানার সুযোগ হয় অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সাথে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গল্প আয়ত্ব করে নিজেই বনে যান সেনাবাহিনীর অব: কর্মকর্তা। নিজেকে পরিচয় দেন অব: প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট।
তার প্রতারনার প্রথম টার্গেট নতুন কোন সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিভিন্ন প্রলোভন ও লাভজনক ব্যবসার আশ্বাস দিয়ে উচ্চ বেতনে নিয়োগ নেন কোম্পানির জিএম/ ডাইরেক্টর কিংবা সিইও পদে।
তারপর শুরু হয় তার আসল প্রতারনা। এসব কোম্পানিতে যারা গার্ডের চাকুরীর জন্য আসে তাদেরকে তিনি লোভ দেখান সরকারী বা বেসরকারী বড় পদের এবং উচ্চ বেতনের চাকুরীর। আর এভাবেই প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এ অপকর্মগুলো বাস্তবায়িত হয় তার ৫ সহযোগী সাভারের রবিন, রংপুরের হামিদ, ঢাকার রাজিবুল, চট্রগ্রামের শাহ আজিম, মটনকান্তি দাস ওরফে ইমন, খোকনুল আজাদ গংদের যোগসাজেশে। এদের মধ্যে কয়েকজন টার্গেট করে অসহায় বেকারদের, কেউ নিয়ে আসে তার অফিসে আর সে দেখায় প্রলোভন আর হাতিয়ে নেয় টাকা, নিঃস্ব হয় বেকাররা।
বিভিন্ন ভুক্তভোগীর অভিয়োগের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি অভিযানিক দল তার নামসর্বস্বহীন একটি ভুয়া কেম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রতারনার কাজে ব্যবহারিত ফেক ডকুমেন্টস উদ্বার করে ও তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর সে তার অনেক অপকর্মের কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি ফৌজদারী মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং ১০।