প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৪৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ধর্মীয় স্বাধীনতা বলতে বুঝায় আমার ধর্মীয় পরিচয় যেন সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারি। আমি কোন বিশ্বাসে বিশ্বাস করি এটা প্রকাশ করার স্বাধীনতাকে ধর্মীয় স্বাধীনতা বলে। সবাই মিলে-মিশে নিজেদের ধর্ম পালন করছেন। এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দৃষ্টান্ত যদি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে বিশ্ব থেকে দূর হবে সাম্প্রদায়িক হানাহানি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৪৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য উৎপল সাহা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর একইসাথে মুসলিমদের ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা ও আমাদের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হবে। এটাই মূলত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা একই দিনে প্রবারণা পূর্ণিমা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উদযাপন করবো। এটাই আমাদের বাংলাদেশের আসল রূপ। আমি কিছুক্ষণ আগে একটা পত্রিকার লেখা পরছিলাম যেখানে দেখলাম যে একটি এলাকায় একই আঙিনায় পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরে প্রায় ৩০ বছর ধরে সম্প্রীতির সাথে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে নামাজ ও শারদীয় দূর্গাপূজা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও মসজিদের পাশেই মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্গাপূজা। আযান ও নামাজের সময় বন্ধ থাকছে পূজার কার্যক্রম। উভয় ধর্মের লোকজন বলছে তারা সব সময় সম্প্রীতির সাথেই নিজ-নিজ ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আমরা সবাই মিলে মিশে এভাবে বসবাস করছি, সবাই মিলে-মিশে নিজেদের ধর্ম পালন করছেন; এটাই বাংলাদেশ। এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দৃষ্টান্ত যদি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে বিশ্ব থেকে দূর হবে সাম্প্রদায়িক হানাহানি।