প্রকাশ: বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৩৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌল্লাহ। ১৪ অক্টোবর তার সফরে আসার কথা রয়েছে। এটিই হবে ব্রুনাইয়ের সুলতানের প্রথম বাংলাদেশ সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। এ সময় দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশ ২০২০ সালে মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের সময়ে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে অনেক নেতাই আসতে পারেননি। এখন ওইসব নেতাকে বাংলাদেশ সফরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্রুনাইয়ের সুলতানও ওই সময় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্রুনাইয়ের সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করবেন। তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ব্রুনাইয়ের সুলতাদের সফরের বিস্তারিত কর্মসূচি এখন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি সংগ্রহের সম্ভাবনা, কৃষি ও মৎস্য খাতে সহযোগিতা এবং হালাল খাদ্য নিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। ব্রুনাইয়ে বর্তমানে ২৩ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ অনেক আগে ব্রুনাই থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করেছে। তারপর তা নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এখন দেশটি থেকে জ্বালানি আমদানির বিষয়ে আলোচনা হবে। ব্রুনাইয়ের তেল-গ্যাসসহ জ্বালানির বিপুল রিজার্ভ রয়েছে।
সুলতাদের সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ। ব্রুনাই আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের জোরালো ভূমিকা চাইবে। এ সফরে বর্তমান মিয়ানমার পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেটা তুলে ধরার সুযোগ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনাই সফর করেন। ব্রুনাইয়ের সুলতানের এটা ফিরতি সফর। সুলতানের সফরে কয়েকটি সমঝোতা ও চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। ব্রুনাইয়ের সঙ্গে জ্বালানি, শ্রমবাজার, সরাসরি বিমান চলাচল, প্রতিরক্ষা এবং নাবিকদের সনদের স্বীকৃতিবিষয়ক সমঝোতা সই হতে পারে। এছাড়া দ্বৈত কর পরিহার এবং বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ চলছে।