ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পদদলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৮০ জন।
রবিবার (২ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের কানজুরুহান স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পূর্ব জাভা প্রদেশের গভর্নর খফিফাহ ইন্দর পারাওয়ানসা গণমাধ্যমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে আরেমা ফুটবল ক্লাব ৩-২ গোলে পেরসেবায়া সুরাবায়ার কাছে পরাজিত হলে দর্শকরা স্টেডিয়ামের দিকে ছুটে যায়। সেসময় সংঘর্ষ হয়। কাঁদানে গ্যাস ছুড়তেও দেখা যায়।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো বলেছেন, খেলার মাঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি আশা করেন, 'ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের ইতিহাসে এটিই হবে শেষ দুর্ঘটনা।'
তিনি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটির শীর্ষ ফুটবল লিগ বিআরআই লিগা ১ এর সব খেলা বন্ধ রাখতে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রধান শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন পিএসএসআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস নুসি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ফিফা এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছে। সংস্থাটি পিএসএসআইকে ঘটনার তদন্ত করতেও বলেছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে কোনও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতা বলা হচ্ছে এটিকে। ১৯৬৪ সালে লিমাতে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের সময় পদদলিত হয়ে ৩২০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হন।
১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে নিহত হন ৩৯ এবং আহত ৬০০ জন।