৮৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই নিগার সুলতানার দল তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ৫৫ রান। জয় থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে শামীমা থিপাচা পুত্থাওংয়ের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন। মাত্র ১ রানের জন্য ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৩০ বলে ১০ চারে ১৬৩ দশমিক ৩৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৯ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। বাকি পথটুকু অনায়সেই পাড়ি দেয় ফারজানা হক ও নিগার সুলজানা। যদিও শামীমরা আউটের পর সেই আক্রমণাত্মক মেজাজে কিছুটা ভাটা পড়ে। ফারজানা ২৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকনে। অন্যদিকে অধিনায়ক জোত্যি ১ ছক্কায় ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিকে টস হেরে বোলিং পাওয়া বাংলাদেশ শুরু থেকেই থাইল্যান্ডকে চেপে ধরেছিল। ১৬ রানে দুই উইকেট হারায় থাইল্যান্ড। প্রথম ৮ ওভার পর্যন্ত প্রতিপক্ষ কেউই বাউন্ডারির দেখা পাননি। নবম ওভারের জাহানারাকে পর পর দুই চার মেরে বাউন্ডারির খড়া কাটায় থাইল্যান্ড। যদিও বেশিক্ষণ সেই লড়াই চালাতে পারেননি নথকান চনথাম ও ফন্নিটা মায়া।
বাংলাদেশের স্পিনারদের ঘূর্ণিজাদুতে থাইল্যান্ড ১৯ দমমিক ৪ ওভারে ৮২ রানে অলআউট হয়। চনথাম ৩৮ বলে ২০ ও মায়া ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। এর বাইরে কেউই দুই অংকের বেশি করতে পারেননি।
বাংলাদেশের স্পিনার রুমানা আহমেদ ৯ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সোহেলি আক্তার, সানজিদা আক্তার ও নাহিদা আক্তার নেন দুটি করে উইকেট। অভিজ্ঞ সালমা নেন একটি উইকেট। একমাত্র পেসার জাহানারা ২ ওভারে বোলিং করে ১৫ রান খরচায় উইকেট শূন্য ছিলেন।
শনিবার এই ম্যাচ দিয়েই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডের অভিষেক হয়েছে। ভেন্যুর অভিষেক রাঙিয়ে তুলতে সিলেটের বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শকরা এসেছেন খেলা দেখতে। তীব্র গরমে কষ্ট পেলেও শামীমা-ফারাজার ব্যাটে সেই কষ্ট উবে গেছে দর্শকদের। আরেফিন নামের এক ক্রিকেট ভক্ত সুনামগঞ্জ থেকে এসেছেন। মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি আশা তার। এই কারণে তীব্র রোদও আরেফিনকে আটকে রাখতে পারেনি। রোদ মাথায় নিয়ে আরেফিনের মতো বহু দর্শক মাঠে সরব ভূমিকাতে।