#একজন অনন্য বিশ্বনেত্রী আমাদের শেখ হাসিনা: ড. শাহিনূর রহমান। #বিশ্বে বাংলাদেশের অর্জনকে তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা: উৎপল দাস।
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:১৬ পিএম আপডেট: ৩০.০৯.২০২২ ১১:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তার সব কিছুর মূলেই রয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর শক্তি আমাদের মধ্যে বারে বারে আশার আলো যোগাচ্ছে। আজকে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই আশার আলোতে বসবাস করছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৪৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আজকের বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তার সব কিছুর মূলেই রয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর শক্তি আমাদের মধ্যে বারে বারে আশার আলো যোগাচ্ছে। আজকে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই আশার আলোতে বসবাস করছি। আজকে সারা বিশ্বের অনেক দেশে যেভাবে খাদ্য মন্দা দেখা দিয়েছে সেখানে আমাদের দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত আছে। আমাদের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান এই মুহূর্তে অনেক এগিয়ে আছে পূর্বের তুলনায়। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আমি অত্যন্ত আশাবাদী এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন অতিক্রম করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত করতে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার পর্বতসম অকুতোভয়, অসীম সাহস, কর্মে পারদর্শিতা, দৃঢ় মনোবল এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দৃঢ়তা তাঁকে করেছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান, দক্ষ ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক। অর্থনীতি, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, জীবন যাত্রার মান প্রায় সর্বক্ষেত্রেই বিশ্ববাসীর নিকট সমীহ করার মতো অবস্থায় পৌঁছে দিচ্ছেন বাংলাদেশকে। তাইতো ষড়যন্ত্র ও বিশ্বব্যাংকের মিথ্যাচারকে উপেক্ষা ও পদদলিত করে অসীম সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সবচেয়ে মেগা প্রকল্প স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ গর্বিত বাস্তবতা।
উৎপল দাস বলেন, জাতিসংঘে যেভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন সেটাতে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি আজ জননেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছিলেন ও শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন, তার পথ ধরে তার কন্যাও আজ বর্তমান বিশ্ব উপযোগী শান্তির ললিত বাণী শোনাচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বদেশে ফিরে আসেন। তাকেও অসংখ্য বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রতিবারই তিনি প্রাণে বেঁচে যান। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাদের আশার বাতিঘর। আস্থার ঠিকানা। বেঁচে থাকার অবলম্বন। সম্প্রীতির ধারক ও বাহক। পথ চলার অনন্ত প্রেরণা। তিনি বাংলার মানুষকে আপন করে ভালোবেসে মুক্তির মিছিলে ছিলেন আশৈশব। তাকে যেন আমরা বাংলার ষড়ঋতুতে খুঁজে পাই। তার স্নেহ, মায়া-মমতার পরশে দুঃখী মানুষ খুঁজে পায় শান্তির ঠিকানা। তেমনি আবার তার অদম্য সাহস আর সংগ্রামী চেতনায় জেগে উঠে মুক্তিকামী মানুষ।