র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর ৭ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সেন্টার ফর গভমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত ‘মিট দি অ্যাম্বাসেডর’ প্রোগ্রামে তিনি একথা জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই নীতি ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দায়বদ্ধতা ও সংস্কার হচ্ছে। এটি আমরা সরকারকে এবং প্রকাশ্যে উভয়ভাবেই বলেছি। এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কাউকে শাস্তি দেওয়া নয় বরং তাদের ব্যবহার পরিবর্তন করা।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতকে নির্বাচন, রোহিঙ্গা, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। তবে সিংহভাগ প্রশ্নই ছিল—বাংলাদেশের নির্বাচন এবং আসন্ন নির্বাচন যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী হবে সেটি নিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি কূটনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে অবহিত যে, অন্য কোনও দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা যায় না। আমি এটাও অবহিত যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে নির্বাচন করার বিষয়ে অনেক পরামর্শ ও সুপারিশ রয়েছে। আমি যখন নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করি, আমি ওই পরামর্শ বিষয়ে কথা বলি এবং আমি বলতে চাই যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্জনে সহায়তা করতে চায়।
নির্বাচন কমিশনের করণীয় বা সংবিধান সংশোধনী বিষয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বহুমুখী সমাজ দেখতে চাই।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না। সাধারণভাবে পেশাদার কূটনীতিকরা 'হতে পারে' এমন কোনও বিষয়ে মন্তব্য করেন না। বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচনের বিষয়।
চলমান সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, এমন কোনও নির্বাচন নেই যেখানে সহিংসতা ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্বীকার করি—এখানে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং অক্টোবর মাসে এটি নিয়ে আমরা আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনুষ্ঠানে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে পিটার হাস বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে (আইপিএসে) বাংলাদেশের যোগ দেওয়া, না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। কেননা এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার বিষয়। এছাড়া বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কোন জোটে যোগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।