#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #মিয়ানমারকে শক্তিশালী জবাব দিতে হবে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৩০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক শিষ্টাচার ছাপিয়ে মিয়ানমার গত কয়েকদিন ধরে যে ধরণের আচরণ করছে তখন এদেরকে এখন প্রতিহত করা আজ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই, তাই আমরা চাচ্ছি এই ধরণের শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজের জন্য মিয়ানমারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ছাপিয়ে মিয়ানমার গত কয়েকদিন ধরে যে ধরণের আচরণ করছে তখন এদেরকে এখন প্রতিহত করা আজ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই, তাই আমরা চাচ্ছি এই ধরণের শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজের জন্য মিয়ানমারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো। জাতিসংঘে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই; মূলত এই বার্তাটা আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। রোহিঙ্গারা যেভাবে মানবেতর জীবন যাপন করে যাচ্ছে সেখানে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন এখন পর্যন্ত যেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় নজিরবিহীন। আজকের বাংলাদেশের চিত্র আর মাত্র এক দশক আগের বাংলাদেশের চিত্রের ভিন্নতা অনেক। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ করলে উন্নয়ন ও অর্জনের পাল্লা ভারী। কৃষি, শিক্ষা, কূটনীতি, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে ঘটেছে সরব বিপ্লব। কয়েক বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। বিদ্যুৎহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল গ্রামের পর গ্রাম। অধিকাংশ ঘরবাড়ি ছিল মাটির দেয়াল অথবা পাটখড়ি বা বাঁশের বেড়া আর খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের সেই চিত্র আর নেই। অধিকাংশ বাড়িঘর দাঁড়িয়ে আছে ইট-সিমেন্ট অথবা টিনের ওপরে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ। বদলে গেছে তলাবিহীন ঝুড়ির কথিত ভাবমূর্তিও। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কে।
উৎপল দাস বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে উদার সুসম্পর্ক বজায় রাখা। কিন্তু এই সুসম্পর্ককে যদি কেউ দুর্বলতা হিসেবে নেই তাহলে সেটা তাদের জন্য খুবই ভুল হবে। বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার সেল নিক্ষেপ ও তাদের বিমান আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তাতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ এবং ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চিত্র পৃথিবী জুড়ে দেখেছে। দেখেছে সামরিক জান্তার পৈচাশিক উল্লাস।মিয়ানমারের ভিতরে বেশকিছুদিন ধরে চলে আসা আরকান আর্মি এবং সে দেশের জান্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে অসংখ্য খবর এসেছে। তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের গোলা বারুদ বিস্ফোরণের অতিমাত্রার শব্দ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত জনপদে বসবাসকারীদের মাঝে কল্পনা অতীত ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আতঙ্কের ভেতরে কাটাচ্ছেন ঐ অঞ্চলে বসবাসকারী নাগরিকেরা। বাধ্য হয়ে সীমান্ত লাগোয়া ধুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে রাখতে হয়েছে সতর্ক প্রহরারত।