প্রকাশ: সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মিয়ানমারের ভিতরে বেশকিছুদিন ধরে চলে আসা আরকান আর্মি এবং সে দেশের জান্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে অসংখ্য খবর এসেছে।
তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের গোলা বারুদ বিস্ফোরণের অতিমাত্রার শব্দ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত জনপদে বসবাসকারীদের মাঝে কল্পনা অতীত ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মিয়ানমারের ভিতর থেকে অনেকবার সীমানা ক্রস করে ফাইটার হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধ বিমান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম,তমব্রুতে ঢুকেছিল কয়েকবার।
আবার মাঝেমধ্যে ঐ দেশের সেনাবাহিনীর ব্যাবহারীত একে ৪৭,রাইফেলের গুলি,মর্টারশেল পড়েছে বাংলাদেশের ভিতরে।
সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে ছুড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত,পাঁচ জন আহত হয়েছে।
সীমান্ত পিলার ৩৪,৩৫,এরিয়ার মাঝারি জায়গাই বাংলাদেশের ভিতরে রয়েছে তমব্রু বাজার ঐ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায় রোববার দুপুরের পর থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে কোন কিছুর বিকট শব্দ আসেনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
কথা হয় বাজারের চা দোকানদার মোহাম্মদ করিমের সঙ্গে তিনি বলেন,তিন দিন ধরে আমাদের জনপদে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে প্রশান্তির আমেজ হয়তো খুব সহসাই ভয়-ভীতি কাটিয়ে আগের মত স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারবো আমরা।
নাইক্ষ্যংছড়ির সদরের আষারতলীর আব্দু রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান তাদের সীমানা পিলার দিয়ে কোন ধরনের গোলা বা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনা যায়নি গত দুইদিন পর্যন্ত।
সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী এক জন প্রতিনিধি এবং দুই প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার রয়েছে, তাদের এই দেশপ্রেম রাতদিন সীমান্তে কর্ম তৎপরতাই সীমান্তবাসি মনে শক্তি পাচ্ছেন।