প্রকাশ: সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা ও যমুনা নদীতে ডুবো চর দেখা দিয়েছে। ডুবোচরে ফেরি আটকে যাওয়ার আংশঙ্কায় দীর্ঘ পথ ঘুরে ঘাটে পৌঁছাতে দ্বিগুন সময় লাগছে। এতে জ্বালানি খবচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সরেজমিনে দেখাযায়,পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় নদীর মাধ্যে মাঝে মাঝে ডুবোচর জেগে উঠেছে। এতে ফেরি চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিটি ফেরি কে ঘাট থেকে ছেড়ে নদীতে ভাটির দিকে গিয়ে আবার স্রোতের বিপরীত উজিয়ে ঘাটে আসতে হচ্ছে। তাতে আগের চেয়ে জ্বালানী তেল খরচ বেড়ে গেছে এবং ফেরি চলাচলে সময়ও দ্বিগুন লাগছে। গত রোববার বিকেলে ডুবোচরে রো রো ফেরি খান জাহান আলী আটকে যায়। দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজ (আইটি) প্রায় চার ঘন্টা পর ফেরিটি ডুবো চরে থেকে উদ্ধার করে। ডুবো চরে ফেরি আটকা পড়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা কান্নাকাটি করে।
রোরো ফেরি শাহ আলীর গিরিজার মাস্টার ফরহাদ বলেন,আগে আমরা দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে নদীতে উজিয়ে গিয়ে তার পরে ভাটিতে এসে ঘাটে পৌছাইতাম। এখন তার উল্টো হয়েছে। নাব্যতা সংকটের কারনে নদীতে ডুবোচর দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আমরা ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে ভাটিতে গিয়ে তার পর স্রোতের বিপরীত উজিয়ে ঘাটে আসতে হচ্ছে এতে তেল খরচ বৃদ্ধি ও দ্বিগুন সময় বেশি লাগছে।
দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডাব্লিউটিসি'র সহকারী ব্যাবস্থাপক ( বানিজ্য) খোরশেদ আলম বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে ডুবোচর দেখা দিয়েছে। যার কারনে গতকাল বিকেলে খান জাহান আলী ফেরিটি ডুবো চরে আটকা পড়ে। ৪ ঘন্টা দুটি আইটি দিয়ে কাজ করে ডুবোচর থেকে ফেরি নামানো হয়।
এই নৌরুটে খনন করে ফেরি চলাচলের চ্যানেলটি ঠিক করাতে হবে। তা না হলে ডুবোচরে ফেরি মাঝে মধ্যেই আটকে যাবে। এই নৌরুটে ইউটিলিটি ফেরি ৪ টি,রোরো ফেরি ৬ টি মোট ১০ টি ফেরি চলাচল করছে।