#বর্তমান বিশ্বের বিস্ময়কর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা: আতিয়ার রসুল কিটন। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য অগ্রযাত্রায়: আফছার খান সাদেক।
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। আর এই সব কিছুই আজ সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। আজকে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রায় উন্নত দেশের কাতারে চলে যাচ্ছে। এগুলো সব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার মনন, মেধা ও যোগ্যতার কারণে। এইজন্যই তিনি আজ জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী। জয়তু শেখ হাসিনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসুল কিটন, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
আতিয়ার রসুল কিটন বলেন, আজকের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় যেটা জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে তিনি আমাদের নেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। আজকে জাতিসংঘের ভাষণে তিনি যেভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে আজ পুরো বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। একসময় বাংলাদেশে সেই পাকিস্তানের শোষণ-নিপীড়নের মধ্যে ছিল। সেই বাংলাদেশকে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের থেকে আমাদের মুক্তি করে আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গিয়েছেন। এই বাংলাদেশ আবার বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ২১ বছর আরও একটি অন্ধকার যুগে ছিল। যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল সে বাংলাদেশের মাথা নিচু হয়ে গিয়েছিল এই ২১ বছরে সামরিক শাসনামলে। ২১ বছর পর যখন আওয়ামী লীগ ফের দেশের শাসন ব্যবস্থায় আসীন হলেন তখন থেকে আবার বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করলো। ষড়যন্ত্রকারীরা ওত পেতে ছিল সহস্রবার। তার লালিত স্বপ্নপূরণে বাধা এসেছিল বারবার। নিজের জীবন বাজি রেখে কীভাবে একজন মানুষ শত প্রতিকূলতাকে তুচ্ছজ্ঞান করে এগিয়ে যেতে পারে, সারাবিশ্বে তিনি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে কাটিয়েছেন। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা মুছে গেছে বহু আগে। এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এক বিস্ময়ের নাম বাংলাদেশ। অনেক সূচকে দৃষ্টান্তস্থাপনকারী ‘মডেল’ দেশ। অন্য অনেক দেশের জন্য উৎসাহ, অনুপ্রেরণা আর অনুসরণীয় দেশের নাম ‘বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় স্থান করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। আর এই সব কিছুই আজ সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
আফছার খান সাদেক বলেন, জননেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রী, ছয় দফা আন্দোলনে সাহসী নেত্রী থেকে শুরু করে তার জীবনের নানা চড়াই-উৎরায় পাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে বর্তমান অবস্থানে এসেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঘরে যে শিশুটির জন্ম হয়েছিলো, তিনিই হাটি হাটি পা পা করে নিজের সততা নিষ্ঠা, একাগ্রতা, ভিশন ও কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে আজ বিশ্বনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দুরন্ত, দুর্বার গতিতে। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, সুদৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাকে করেছে অদ্বিতীয়। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। স্বপ্নদর্শী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখেই প্রশান্তি পান না, তার বাস্তবায়নের মধ্যে তৃপ্তি পান। তিনি বিএনপি- জামায়াতের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক কায়দায় মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়া একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অনেকবার। গ্রেনেড হামলাও হয়েছে। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। ঘাতকরা সফল হতে পারেনি। শেখ হাসিনা অমিত সাহসী বিশ্ব নেত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ, হানাহানি, সংঘাত-সংঘর্ষ, বারুদের পরিবর্তে তিনি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। আজকে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রায় উন্নত দেশের কাতারে চলে যাচ্ছে। এগুলো সব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার মনন, মেধা ও যোগ্যতার কারণে। এইজন্যই তিনি আজ জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী। জয়তু শেখ হাসিনা।