প্রকাশ: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অল্প জমিতে ক্ষেত আর স্বল্প পরিচর্যায় মিলছে বেশি মুনফা। রোদ কিংবা বৃষ্টিতে তেমন কোন রোগ বালাইয়ের ধকল না থাকায় রক্ষনা-বেক্ষন করার বাড়তি সময়ও বাচেঁ অনেক। ফলে সামান্য উৎপাদন খরচে চাষিরা আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। তাই বাঁশ আর পলিথিনের তৈরি শেড পদ্ধতিতে এখন ১২ মাসই চলছে সুগন্ধি মরিচের আবাদ। ফলে দেশী প্রজাতির এই সুগন্ধি মরিচের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় দিনে দিনে উদ্যোগী হচ্ছেন উপকূলীয় কৃষকরা। আ লিক ভাষায় সুগন্ধি মোম্বাইকে বলা হয় ঘৃত বোম্বাই মরিচ। যা ইংরেজি ভাষায় অনেকেই চেনে নাগা মরিচ হিসেবে। বর্তমানে উপকূলীয় চাষিরা এই মরিচ উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
নীলগঞ্জ ইউপির ইসলামপুর গ্রামের চাষী নজরুল ও ইব্রাহীম। তারা দুজনেই শেড পদ্ধতিতে আবাদ করেছেন সুগন্ধি মরিচের। তবে এদের মধ্যে ইব্রাহীম ১৮ শতক যায়গায় শেড তৈরি করে রোপন করেছেন ৭ শতাধিক মরিচের চারা। মাত্র ৫৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচে একটি বাগান গড়ে তুলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে¦ই ফল এসেছে সিংহভাগ গাছে। অপেক্ষা করছেন পরিপক্ক ফসলের। তার ভাষ্যমতে সবকিছু ঠিক থাকলে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহের মাধ্যমে ২ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন তিনি। ইব্রাহীম জানান, বর্তমানে সুগন্ধি মরিচে লাভ ভালো হওয়ায় শেড করে মরিচের চাষাবাদ শুরু করেনছেন তার মত অনেকেই।
অপর দিকে সৃজনশীল চাষী নজরুল ইসলাম ১২ শতক জমিতে শেড করে প্রায় ৫ শতাধিক মরিচের চারা রোপন করেছেন। তিনি জানান, তার ক্ষেতে উৎপাদিত মসলা জাতীয় এই ফসল বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করবেন তিনি। তার দাবী এবছর অনাবৃষ্টিতে রোদের তীব্রতা বেশি থাকায় কিছুটা মরিচের ফুল ঝড়ে গেছে। না হলে আরো বেশি লাভের আশা করেছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে আরো বেশি জমিতে মরিচ আবাদের প্রচেষ্টা এই কৃষকের।
এবিষয়ে,কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, আমারা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি, যাতে করে কৃষকরা চাষে আরো উন্নতি করতে পারে। এছাড়া বালাই নাশকসহ সব ধরনের সার প্রয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য কৃষককে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি শেড পদ্ধতিতে মসলা জাতীয় ফসল চাষে কৃষকরা আরো উদ্যোগী হবে।