প্রকাশ: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:১১ এএম আপডেট: ২৪.০৯.২০২২ ২:১২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
থাইল্যান্ডকে ১১ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের পাশাপাশি বাছাই পর্বের ফাইনালও নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বাছাই পর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের।
শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ১১৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর)। প্রথম সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ড জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
টাইগ্রেসদের দেয়া ১১৩ রান ডিফেন্ড করতে নেমে শুরু থেকেই থাইল্যান্ডকে চাপে রাখেন বাংলাদেশি বোলাররা। ৭ রানের মাথায় ওপেনার অনিচাকে ফারজানার ক্যাচ বানান সালমা খাতুন। ১৪ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন থাই ওপেনার।
এরপর ১৩ রানের মাথায় বিদায় নেন দুই থাই ব্যাটার। ব্যক্তিগত ১০ রানে নানাপাট ও শূন্য রানে নাটায়া প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
নাহিদা আক্তার শিকার করেন চাইওয়াইর উইকেট। রিটায়ার্ড হার্ট হন চানিদা। ওয়ানডাউনে নামা নাথাকান চানথাম ইনিংসের হাল ধরেছিলেন। শেষ দিকে এসে সালমার শিকার হন তিনি। ৫১ বলে ৬৪ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। সালমা শিকার করেন রোজেনানের উইকেটও। ১০ রান করেন সরনারিন।
শুরুতে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামেন ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন। এদিন ৩৪ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফারজানা।
বাংলাদেশের হয়ে আগের ম্যাচে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মুরশিদা। ওই ম্যাচে তার স্ট্রাইক রেটও ছিল ১২০-এর বেশি। থাইল্যান্ডের মেয়েদের বিপক্ষে তিনি আউট হন ২৬ রান করে। ফারজানা আউট হওয়ার পর নিগার সুলতানা জ্যোতিকে নিয়ে ১৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। জ্যোতি আউট হন ১৭ রানে।
বাংলাদেশকে ১০০ পার করাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রুমানা আহমেদ ও রিতু মনি। ১৭০ স্ট্রাইক রেটে ১৭ রান করেন রিতু। ২৪ বলে ২৮ রান করেন রুমানা। সোবহানা করেন ৬ রান।
দশ দলের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে আগে থেকেই জায়গা নিশ্চিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।
এছাড়া র্যাংকিং বিবেচনায় ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান পেয়েছে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট।
তাদের ছাড়া বাছাইয়ে কোয়ালিফাই করে আর আরব আমিরাতে চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।