#বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন শেখ হাসিনা: ড. শাহিনূর রহমান। #জাতিসংঘে বাঙালির মর্যাদা বৃদ্ধি করছেন শেখ হাসিনা: অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন।
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসছি যিনি এই বর্তমান সমসাময়িক বিশ্বে সব থেকে আলোচিত একজন মানুষ, তিনি হচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ মডেল ইকোনমিক কান্ট্রি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা কারও দয়ায় এই উন্নয়ন গুলো সম্ভব করেনি, তিনি তার মেধা, মনন ও একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আজ এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসছি যিনি এই বর্তমান সমসাময়িক বিশ্বে সব থেকে আলোচিত একজন মানুষ, তিনি হচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম হয় তার। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রথম সন্তান। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে যেভাবে একজন রাষ্ট্রপতিকে সহ তার পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো সেখানে নিজের পরিবারের সবাইকে হারিয়েও এই দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে এই দেশ ও দলের হাল ধরলেন সেটা আমরা আর অন্য কারও মধ্যে দেখতে পারেনি। এমন একটা অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রেখে দেশের হয়ে কাজ করার জন্য মানসিকভাবে নিজের সুস্থ রেখে কাজ করাটা এটা ছিল একটা বিরল ঘটনা। আজকে সেই শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে এখন বিশ্ববাসীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশকে সেই বিপরীতমুখী অর্থাৎ সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশের ফেরার পর তাদের সেই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠেনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলার মাটিতে নেমে বলেছিলেন স্বজনহারা শেখ হাসিনা, ‘আমার হারাবার আর কিছু নেই। বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে হারিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। আমি আপনাদের কাছে শপথ করছি, আমার দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যাব।’ পঁচাত্তরের পরে নিজের পরিবারকে হারিয়ে যেভাবে মাথা ঠাণ্ডা করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে গিয়েছেন ও যাচ্ছেন তার কারণেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আলোচিত নাম।
অধ্যাপক কর্ণেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দীন বলেন, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি যে অবস্থায় চলছে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক পথেই আছেন। তিনি আমাদের জন্য উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ চাঙ্গা হয়েছে। তলাবিহীন ঝুঁড়ি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ মডেল ইকোনমিক কান্ট্রি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা কারও দয়ায় এই উন্নয়ন গুলো সম্ভব করেনি, তিনি তার মেধা, মনন ও একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আজ এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।