#বাংলাদেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা: কে এম লোকমান হোসেন। #বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ শেখ হাসিনা: এম এ লিংকন মোল্লা।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশমাতৃকার সেবা, জনগণের মুখে হাসি ফোটানো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্যই আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সবসময় রক্ষা করেছেন এবং শক্তি ও সাহস দিয়েছেন। বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তা শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মত অন্তর দিয়ে এ দেশের মানুষকে ভালোবাসে তাই যে কোনে অর্জন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেন। আমাদের সকলের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৩৩তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম এ লিংকন মোল্লা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, আজকের যে আলোচ্য বিষয় সেটা হলো ৭৬ এ জননেত্রী। আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করতে হলে আমাদের একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে ধ্বংসস্তূপ থেকে এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে একেবারে শুরু থেকে কাজ করেছিলেন। তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় তিনি দেখতে চেয়েছিলেন সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে পুরনো পাকিস্তানের ধারায় চালিয়েছে সামরিক শাসকরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি পাকিস্তানপন্থী ভাবধারার দেশে পরিণত করেছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন শেখ হাসিনা। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে অসীম সাহসিকতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিলেন। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হারিয়ে নেতাকর্মীরা দিশেহারা, হাজার নেতাকর্মী জেলে এবং দলের মধ্যে বিভক্তি- এমন সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্ব নিয়ে তিনি শুধু দলকেই বাঁচাননি, দেশ ও জাতিকে বাঁচিয়েছেন। নেতৃত্ব দেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনে। তিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য জনমত তৈরি করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছরের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত সফল হয়। তারই ফলাফল ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি কুখ্যাত ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের উদ্যোগ নেন। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ভোট কারচুপির মাধ্যমে আবার ক্ষমতাসীন হয়ে হত্যা, খুন ও দুর্নীতিসহ দেশকে চরম নৈরাজ্যের পথে ঠেলে দেয়। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে ওঠে। তিনি দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের জীবনে বহুবার কারাবরণ করেছেন। এছাড়া তাকে হত্যার জন্য দীর্ঘ ১৯ বার চেষ্টা করা হয়। তারপরও তিনি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অন্যায় ও অপশাসনের কাছে নতি স্বীকার করেননি। দেশমাতৃকার সেবা, জনগণের মুখে হাসি ফোটানো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্যই আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সবসময় রক্ষা করেছেন এবং শক্তি ও সাহস দিয়েছেন। বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তা শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মত অন্তর দিয়ে এ দেশের মানুষকে ভালোবাসে তাই যে কোনে অর্জন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেন।
এম এ লিংকন মোল্লা বলেন, আজকের ভোরের পাতার এইরকম চমৎকার একটি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ যদি ভোরের পাতা সংলাপ না হতো তাহলে আমরা জানতে পারতাম না সত্যিকার অর্থেই জননেত্রী শেখ হাসিনা যিনি মাদার অব হিউমিনিটি তিনি কিভাবে আমার দেশকে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০৪০ সালে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পার ক্যাপিটাল ইনকাম ১২ হাজার ডলার। এখন কথা হচ্ছে এগুলো কিভাবে সম্ভব? এগুলো এইজন্যই সম্ভব কারণ আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রী আছে এবং তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় যিনি আমাদের এই তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন যদি না দিতে পারো তাহলে আমরা এভাবে এগুতে পারতাম না। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন-দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এর মধ্যে দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করেন। জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পর তৈরি কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে করেন বিচার ব্যবস্থা পূর্ণগঠন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু, রাজনৈতিক হত্যা, বঙ্গবন্ধু ও তার সপরিবার, কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাসহ সকল হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্বে দিচ্ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশের রত্ন নয়, তিনি বিশ্বরত্ন। তিনি বাঙালি জাতির চেতনার প্রতীক। আমাদের অহংকার। যার অপ্রতিরোধ্য পথ চলায় বাংলাদেশ আজ ছুটে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের জয়জয়কার। বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক। আমাদের সকলের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় ও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।