প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পাহাড়ি আঞ্চলিকদলগুলোর চাঁদাবাজিসহ সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধির সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সংঘাতসহ বড় ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরনে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ যাতে সমাজে একসঙ্গে মিলে মিশে বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে পার্বত্য রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে রাঙামাটি শহরে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ আব্দুল আলী মঞ্চে এই সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. সেলিনা আকতার, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ তরিকুল ইসলাম, জোন কমান্ডার লেঃ বিএম আশিকুর রহমান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ (বিপিএম-বার) সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, পৌর মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরী’সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই সম্প্রীতি সমাবেশে অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গতকয়েক দিন আগে সন্ত্রাসী ধারা ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজি চাকলদের মাঝে আর্তিক অনুদান প্রদান করা হয়।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করেছিলেন।’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনের এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
অপরদিকে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নিতে পারলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে উন্নয়ন বোর্ড থেকে যে সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে তা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য নয়। উন্নয়ন বোর্ড যেখানে মসজিদ নির্মান করছে সেখানে মন্দির, গির্জা সহ সকল সম্প্রদায়ের জন্য করা হচ্ছে। উন্নয়ন বোর্ড কতৃক যে রাস্তা নির্মাণ করছে তা নির্দিষ্ট কোনো জাতি বা সম্প্রদায়ের জন্য না, এটা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য। কোনো পাহাড়ি-বাঙ্গালী বিভাজনের জন্য কাজ করে না পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে। পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীর জীবনমানোন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।