প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। শিরোপা জয়ে দেশজুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। এই আনন্দ ও উৎসবের সময় নারী ফুটবলার দলের ডিফেন্সের খেলোয়ার আঁখি খাতুনের বাবাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শাহজাদপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদশক (এএসআই) মামুনুর রশিদ ও কনস্টেবল আবু মুসাকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফুটবলার আঁখির বাবাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপারকে (শাহজাদপুর সার্কেল) তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে আঁখির বাবাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় এবং এ ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশিদ ও কনস্টবল আবু মুসাকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
নারী ফুটবলার আখিঁর বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহজাদপুর থানার এএসআই মামুনসহ একটি টিম আমাদের বাড়িতে আসে। বাবাকে বলেন, সরকার থেকে আঁখিকে যে জায়গাটি দেওয়া হয়েছে ওই জায়গার ওপরে কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আপনারা এখান থেকে চলে যান। তা না হলে থানায় ধরে নিয়ে যাব।
ভুক্তভোগী আঁখির বাবা বলেন, আমি বাদী বা আসামি কোনোটাই না। পুলিশকে বলেছি আপনারা ইউএনও বা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। তখন আমাকে তারা ধরে নিয়ে যাবে বলেছে।
ফুটবলার আঁখি খাতুন জানান, আমার বাবাকে থানা থেকে ধমকানো হয়েছে একটা পেপার নিয়ে। বলেছে সই করতে হবে, আমার বাবা সই করেননি। তাই আমার বাবাকে থানায় নিয়ে যাবে বলেছে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ফুটবলার আঁখিদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোর্ট থেকে একটা নোটিশ এসেছে। সেই নোটিশের কপিটা এএসআই মামুন আঁখির বাবাকে দিতে গিয়েছিল। একই সঙ্গে রিসিভ করে একটা সই দিতে বললে, সেখানে আঁখির বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি আমি শোনার পর এএসআই মামুনকে আঁখির বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছি। সে ক্ষমা চেয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিকুল ইসলাম বলেন, ফুটবলার আঁখির জন্য ১নং খাস খতিয়ানের একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি হাজী মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমির তার দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় তিনি ওই জমির মালিকানা দাবি করেননি। মামলার তফসিলে খতিয়ানও উল্লেখ করেননি। প্রকৃতপক্ষে আঁখিকে দেওয়া জমিটি ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত। যেটা এখনও আমাদের দখলে রয়েছে। আঁখির পরিবার যাতে ওই জমি না পায়, সে জন্য একটি চক্র এই মামলা দায়ের করেছে।